Advertisment

জয়ের পরেও থামেনি লড়াই, রামধনু রঙের ছাতার তলায় আবার হাতে হাত রাখা

পরিসংখ্যান বলছে, শীর্ষ আদালতের রায় বেশ কিছুটা হলেও বল জুগিয়েছে 'ভিন্ন' যৌনতার মানুষগুলোকে। ৩৭৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার পর প্রাইড ওয়াকে অংশ নেন আরও বেশি মানুষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পোশাকি নাম এলজিবিটিকিউ প্রাইড ওয়াক। আদতে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চেয়ে একদল প্রান্তিক মানুষের এক ছাতার তলায় জমায়েত হওয়া। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলা। তিলোত্তমায় সেই পথ চলা পূর্ণ করল দু'দশক। রবিবার সেই উপলক্ষেই উদযাপনে শরিক হয়েছিলেন হাজার তিনেক মানুষ।

Advertisment

এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষগুলো মহানগরের বুকে প্রথম একসাথে পা মিলিয়েছিলেন বছর কুড়ি আগে, ১৯৯৯ সালের ২ জুলাই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধে সেই প্রথম মহানগরের বুকে রুখে দাঁড়ানো ১৫ টা তাজা প্রাণের। এর পরের লড়াইটা আরও কঠিন। মাঝের দু'দশক জুড়ে অনেক লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অধিকার কেড়ে নেওয়ার লড়াই। অবশেষে সমলিঙ্গ সম্পর্ক সুপ্রিম কোর্টের স্বীকৃতি পেল ২০১৮-র সেপ্টেম্বর মাসে।

পরিসংখ্যান বলছে শীর্ষ আদালতের রায় বেশ কিছুটা হলেও বল জুগিয়েছে 'ভিন্ন' যৌনতার মানুষগুলোর বুকে। ৩৭৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার পর প্রাইড ওয়াকে অংশগ্রহণ করেছেন আরও বেশি মানুষ। গত বছরের তুলনায় সংখ্যাটা প্রায় হাজার খানেক বেশি।

আরও পড়ুন: ‘ভুলে ভরা’ রূপান্তরকামী বিল নিয়ে কী বলছেন শশী থারুর

পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার এবং প্রাইড ওয়াকের অন্যতম আয়োজক নভনীল দাস বললেন, "দেশের শীর্ষ আদালত রূপান্তরকামীদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এবার লড়াই ২০১৮-র রূপান্তরকামী বিল-এর বিরুদ্ধে। ২০১৬-র বিলে যে সমস্ত সংশোধনের দাবি করা হয়েছিল, অধিকাংশকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।পশ্চিমবঙ্গের রূপান্তরকামী উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য অপর্ণা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, "শুধু যে রূপান্তরকামী মানুষদের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্যই জয় এসেছে, তা নয়। যাঁরা ওই সম্প্রদায়ভুক্ত নন, তাঁদের দিক থেকেও বিপুল সমর্থন থাকায় এই জয় সম্ভব হয়েছে।"

প্রসঙ্গত, দিন দশেক আগেই লোকসভায় পাশ হয়েছে রূপান্তরকামী বিল। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিলে ২৭টি সংশোধনের পর অনুমোদিত হয় রূপান্তরকামী আইন সুরক্ষা বিল, ২০১৬। কিন্তু বিরোধীরা যে সমস্ত সংশোধন দাবি করেছিলেন, সে সব ছাড়াই পাশ হয়েছে বিল। বিরোধীদের অনেকেই বিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর একে ‘সমাজকে পিছিয়ে দেওয়া’ এবং ‘ভুলে ভরা’ বিল বলে টুইট করেছেন।

কংগ্রেস সাংসদ টুইটারে জানান, "সংজ্ঞা অনুযায়ী, ভিন্ন যৌন চিহ্নযুক্ত কোনও মানুষ লিঙ্গান্তরকামী নাও হতে পারেন। আবার তিনি স্বেচ্ছায় তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চাইতেও পারেন। কিন্তু বিলে ধরেই নেওয়া হয়েছে, এঁরা রূপান্তরই চান। এর প্রেক্ষিতে আমরা সংশোধন চেয়েছিলাম, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কেন্দ্র থেকে বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়াই হয়নি।"

Read the full story in English

Shashi Tharoor
Advertisment