কেদারনাথ মন্দিরে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গর্ভগৃহে দাঁড়িয়ে থাকা মুরারী বাপুর ছবি ভাইরাল। আর সেই ছবি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কেদারনাথ মন্দিরের প্রবেশ পথে একটি বোর্ডে লেখা আছে ‘মন্দির চত্বরে ছবি তোলা ও ভিডিও করা নিষেধ’। তা সত্ত্বেও মুরারী বাপুর একটি ছবি ভাইরাল হচ্ছে যেখানে মন্দিরে গর্ভগৃহে দাঁড়িয়ে থাকা দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। যদিও মন্দির কমিটির দাবি, 'কোন ভক্ত ছবিটি তুলে তা ভাইরাল করেছে' । কিন্তু তা মানতে নারাজ কংগ্রেস।
শনিবার থেকে কেদারনাথে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মুরারী বাপুর ‘রামকথা’। এর আগে তিনি গর্ভগৃহ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কেদারনাথ মন্দিরে ভিডিও ও ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারির পরও বাপুর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনাও শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হওয়া এই ছবি এখন হয়ে উঠেছে আলোচনার বিষয়। এই ছবি নিয়ে কংগ্রেস নেতা সহ বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছেন। কেউ কেউ বিষয়টিকে ‘প্রোটোকল লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ বলছেন সাধারণ ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত। অতীতে কেদারনাথ মন্দিরের অনেক ভিডিও এবং রিল ভাইরাল হওয়ার পরে, মন্দির কমিটি এখানে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে। এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও মন্দিরের বাইরে সাঁটানো হয়েছে এবং ফটোশুটের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাতে।
মন্দির চত্বরে মন্দির কমিটি যে বোর্ড লাগিয়েছে, সেই অনুযায়ী মুরারী বাপুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। যেহেতু ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, মুরারী বাপুর সঙ্গে সঙ্গে কেদারনাথ মন্দির কমিটিও স্ক্যানারে রয়েছে। লোকজন কমিটিকে প্রশ্ন করছে, কমিটি কি মুরারী বাপুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে? কংগ্রেস এটাকে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত বলে অভিহিত করেছে।
কেদারনাথ মন্দির কমিটির প্রধান কর্মকর্তা যোগেন্দ্র সিং এই পুরো বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে একজন ভক্ত গোপনে এই ছবিটি ক্লিক করেছিলেন। এর জন্য ঘটনাস্থলেই ভক্তকে তিরস্কার করা হয়েছিল, তারপরে তিনি ক্ষমাও চান। যোগেন্দ্র সিং বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ওই ভক্তকে জরিমানা করা হয়েছে।
একটি ভিডিও বিবৃতিতে, উত্তরাখণ্ড কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন BKTC সভাপতি গণেশ গোডিয়াল শনিবার উল্লেখ করেছেন যে BKTC-এর আদেশ বারবার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি সরকার সবকিছুতেই ব্যর্থ। জনগণ অনেক আশা নিয়ে এই সরকারকে বেছে নিয়েছিল কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। আমাদের দেবালয়গুলিও এই সরকারের আমলে নিরাপদ নয়। কমিটির আদেশ ক্রমাগত লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং প্রভাবশালীরা ক্যামেরা নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন,”।