/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/11/kunal1.jpg)
কুণাল কামরা। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তামিল
স্ট্যান্ড-আপ কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা শুরু করার জন্য সম্মতি দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল সুপ্রিম কোর্ট এবং একজন বিচারকের বিরুদ্ধে কুণালের “অত্যন্ত আপত্তিজনক” টুইটের বিষয়ে ফৌজদারি অবমাননার মামলা শুরু করার সম্মতি মঞ্জুর করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল ভেনুগোপাল বলেন যে টুইটগুলি "শুধুমাত্র খারাপই নয়, স্পষ্টভাবেই রসিকতা এবং আদালতের অবমাননার মধ্যকার সীমারেখাও ছাড়িয়ে গিয়েছে"। প্রসঙ্গত, বুধবার কুণাল কামরা এই টুইটগুলি পোস্ট করেছেন যেদিন সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ আত্মহত্যা মামলার অভিযোগে রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে।
জানা গিয়েছে কুণাল কামরার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অবমাননার মামলার জন্য সুপ্রিম সম্মতি চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস একাধিক অনুরোধের চিঠি পেয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলকে যারা লিখেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আওরঙ্গবাদের আইনশিক্ষার্থী শ্রীরাং কাটনেশ্বরকর, আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী এবং পুনে ভিত্তিক দুই আইনজীবী আমে অভয় সিরসিকার এবং অভিষেক শারদ রাস্কর।
আরও পড়ুন, শয্যাশায়ী ভারাভারা রাও, পরিবারের কাতর আবেদনেও জামিনে ‘না’ হাইকোর্টের
ভেনুগোপাল সম্মতিপত্রে এও লেখেন, "আমি দেখছি আজকের লোকেরা বিশ্বাস করে নিয়েছে যে তাদের বাকস্বাধীনতা আছে বলে তার প্রয়োগ করে তারা সুপ্রিম কোর্ট এবং এর বিচারকদের নিষ্ঠুরতার সঙ্গে নিন্দা করতে পারে। তবে সংবিধানের আওতায় বাকস্বাধীনতা অবজ্ঞার আইনের সাপেক্ষে সকলের বোঝা উচিত ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে অন্যায়ভাবে এবং নির্লজ্জভাবে আক্রমণ করা আদালত অবমাননা আইন, ১৯৭২-এর আওতায় পড়ে। যার শাস্তি রয়েছে।"
এই চিঠিতে কুণাল কামরার টুইট উদ্ধৃত করা হয়, যেখানে লেখা হয়েছিল, "এই দেশের সর্বোচ্চ আদালতই এই দেশের সর্বোচ্চ রসিকতা"। ভেনুগোপাল লিখেছেন যে কুণাল কামরা "ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পতাকা নিয়ে গেরুয়া রঙের পতাকা দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের বিল্ডিংয়ের একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে জাতীয় পতাকার বদলে বিজেপির পতাকা বসানো হয়"।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন