আগরতলার বেশ কিছু অংশের পানীয় জলকে 'বিপজ্জনক' তকমা দিল সেখানকার সরকারি মেডিকেল কলেজ। সম্প্রতি, শিবনগর, শান্তিপাড়া এবং মঠ চৌমহনি এলাকার পানীয় জলের নমুনা পরীক্ষা করে জীবাণু পেয়েছে মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগ।
ইন্টিগ্রেটেড ডিজিস সারভিলেন্স প্রোগ্রাম (আইডিপিএস)-এর অংশ হিসেবেই ত্রিপুরার রাজধানী শহরের অঞ্চল বিশেষের জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার ফলাফল বলছে জলের নমুনায় প্যাথোজেনের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।
মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের জল, বাসিন্দাদের ব্যবহার এবং পানের যোগ্য নয়। প্রসঙ্গত, পরীক্ষাগারে যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তা আগরতলার কলেজটিলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে পরিশ্রুত হয়ে তবেই শহরের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন, জলে ‘এইচআইভি পজিটিভ’ মৃতদেহ, খালি করে দেওয়া হচ্ছে জলাশয়
আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তপন মজুমদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের একাধিক বাসিন্দা পেটের সমস্যা, আমাশা, বমি ইত্যাদি অসুবিধা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ডঃ মজুমদার জানিয়েছেন, "জলে ১০ এমপিএন -এর কম ই কোলাই জীবাণু থাকলে তা পান করার পক্ষে নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। আমাদের পরীক্ষায় ধরা পড়েছে প্রতি ১০০ মিলিলিটার জলে ১০০ এমপিএন জীবাণু রয়েছে। এই জল পান করা খুবই বিপজ্জনক"।
পানীয় জলের পাইপলাইনে ছিদ্র থাকা অথবা নদির জলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ডঃ মজুমদার।
পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়র সোমেশ চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।