/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/Modi-and-Shah-Agnipath-Protest.jpg)
অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের জন্য বিবৃতি জারি বায়ুসেনার।
অগ্নিপথ নিয়ে দেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই এবার এই প্রকল্পে নিয়োগের জন্য বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ ভারতীয় বয়ুসেনার। রবিবার বায়ুসেনার তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের 'অগ্নিপথ' প্রকল্পে নিয়োগের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড, বয়সসীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা-সহ একাধিক বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে।
IAF-এর প্রকাশিত বিবরণে বলা হয়েছে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য নতুন এইচআর ম্যানেজমেন্ট স্কিমে বয়সসীমা রাখা হয়েছে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে। চাকরিপ্রার্থীদের নির্ধারিত মেডিক্যাল যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া যুবকদের 'অগ্নিবীর' নাম দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর তাঁদের ৩০ দিনের ছুটি থাকবে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অসুস্থদের জন্য ছুটির ব্যবস্থাও থাকবে। এরই পাশাপাশি সরকার যদি মনে করে তবে চার বছরের মেয়াদ শেষে তাঁরা আনুষ্ঠানিক চাকরিতেও নিয়োগ পেতে পারেন।
বায়ুসেনা জানিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া যুবকরা ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া ইচ্ছা অনুযায়ী চাকরির মেয়াদ ফুরনোর আগে তা ছাড়তে পারবেন না। তাঁদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হবে। অবসরের পর সেনা-জওয়ানদের পেনশন দেওয়া এড়াতেই দেশের সুরক্ষা বাহিনীতে চুক্তির ভিত্তিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথ ধরেছে কেন্দ্র, এমনই দবি বিরোধীদের। দেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের একটি বড় অংশ মোদী সরকারের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্যে-রাজ্যে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভে সোচ্চার যুব সমাজ।
'Agnipath' recruitment scheme details released by Indian Air Force
2/2 pic.twitter.com/8bIXlTp7sJ— ANI (@ANI) June 19, 2022
তবে বিরোধীদের অভিযোগের ব্যাপরে মুখে কুলুপ এঁটেছে মোদী সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ''বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ ভারত। দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রোফাইলও ভারতের জনসংখ্যার মতোই তরুণ হওয়া উচিত। এই উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধিরও সহায়ক হবে কেন্দ্রের এই প্রচেষ্টা।''
আরও পড়ুন- অগ্নিপথ আঁচে তপ্ত আবহ, জোটসঙ্গীতে আস্থা হারাচ্ছে BJP, সরকার পড়ার আশঙ্কা?
যদিও অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে রাজ্যে-রাজ্যে এখনও বিক্ষোভ জারি রয়েছে। বিক্ষোভের জেরে দেশজুড়ে সাড়ে তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রেল মন্ত্রক। একটানা চারদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, কেরলের মতো রাজ্যগুলিতে। ক্রমেই বিক্ষোভ দেশের বাকি রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ছে।