Advertisment

অগাস্টাকাণ্ডে নাম উঠল কমলনাথ পুত্র, খুরশিদ, পটেলদের

১ হাজারেরও বেশি পাতার বয়ান দিয়েছেন সাক্সেনা, যার কপি দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে এসেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Augustawestland, অগস্টা ওয়েস্টল্য়ান্ড

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

অগাস্টা ওয়েস্টল্য়ান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের। এ মামলায় নাম জড়াল কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, আহমেদ পটেলদের। পাশাপাশি মধ্য়প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী কমলনাথের পুত্র বকুলনাথেরও নাম উঠল। এর আগে, কমলনাথের ভাইপো রাতুল পুরির নাম জড়িয়েছিল। অগাস্টা মামলায় অন্য়তম মূল অভিযুক্ত রাজীব সাক্সেনাকে জেরা চলাকালীন এই নামগুলো উঠে আসে।

Advertisment

এ প্রসঙ্গে দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কমলনাথ বলেন, ‘‘আমি আগেই বলেছিলাম যে, লেনদেন বিষয়ে আমার ভাইপো রাতুল পুরির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। আমার ছেলে বকুলনাথ দুবাইয়ে থাকে। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ও বলেছে, এ ব্য়াপারে ওর কোনও যোগ নেই। এমন কোনও নথি নেই যার জেরে প্রমাণিত হয় যে ও জড়িত...’’

সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, ‘‘অগস্টা তদন্তে আমার নাম ওঠায় অবাকই হয়েছি...রাতুল পুরি বা রাজীব সাক্সেনাদের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই’’।

১ হাজারেরও বেশি পাতার বয়ান দিয়েছেন সাক্সেনা, যার কপি দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে এসেছে। ব্য়াঙ্ক স্টেটমেন্ট, অফশোর কোম্পানির রেকর্ড, ই-মেলের মতো তথ্য়াদিও সামনে এসেছে। হাওয়ালার মাধ্য়মে লেনদেনের তথ্য়ও সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন: ‘দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপোস নয়’, দীপাবলিতে সেনাদের বার্তা মোদীর

গত বছরের জানুয়ারিতে দুবাই থেকে রাজীব সাক্সেনাকে প্রত্য়র্পণ করা হয়। বর্তমানে জামিনে মুক্ত সাক্সেনাকে জেরা করেছিল ইডি। সাক্সেনার ৩৮৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

উল্লেখ্য়, ২০১৪ সালে ইউপিএ আমলে ৩,৬০০ কোটি টাকার অগাস্টা চপার কেলেঙ্কারি হয়। অভিযোগ ওঠে ইতালিতে তৈরি এই চপার ভারতকে বেচতে দুর্নীতি হয়েছে। ব্রিটেনের নাগরিক ক্রিশ্চিয়ান মিশেল এই চপার দুর্নীতির অন্যতম কুশীলব বলে জানা যায়। মিশেল প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পকেটও ভারী হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে প্রত্য়র্পণ করা হয় ক্রিশ্চিয়ান মিশেলকে। ২০১৮ সালে ২২ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে ইডি। গত বছর ৫ জানুয়ারি তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। গত বছরের এপ্রিলে মিশেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেনাবেচার ‘বাজেট শিটে’ এক নেতার উল্লেখ রয়েছে, যাঁকে ‘এপি’ নামে ডাকা হয়েছে। ওই বাজেট শিটটি সুইৎজারল্য়ান্ড থেকে উদ্ধার করা হয়।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news
Advertisment