তথাকথিত মানসিক রোগ, স্কিৎজোফ্রেনিয়া (schizophrenia) নামক মানসিক বিকার, এবং তার মাথায় আঘাতের যাতে উন্নততর চিকিৎসা হয়, সেই আবেদন জানিয়ে দিল্লির এক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অন্যতম দোষী, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিনয় শর্মা। সোমবার তিহার জেলে নিজের কুঠুরিতে নিজেই দেওয়ালে মাথা ঠুকে জখম হয় শর্মা, তবে তার আঘাত গুরুতর নয়। আপাতত এই ব্যাপারে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে শনিবার জবাব তলব করেছে আদালত।
তার উকিল এ পি সিংয়ের দাবি, বর্তমানে কাউকে চিনতে পারছে না বিনয় শর্মা, এমনকি নিজের মাকেও না। বৃহস্পতিবার সকালে তিহার জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েল বলেন, সোমবার মাথায় এবং হাতে সামান্য আঘাত পায় শর্মা, এবং জেলেই চিকিৎসা হয় তার। এর আগে মনে করা হয়েছিল, বিনয় শর্মা কারাগারের ভিতরেই দেওয়ালে মাথা ঠুকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকার পাশে থেকে জঙ্গি দমনে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা চিনের
এর আগেও শর্মার মানসিক বিকার প্রসঙ্গে আদালত জানায়, বিনয় শর্মা মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ, ফলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। এর আগে বিনয়ের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। সেই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে বিনয়। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, দোষীদের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন পর্যালোচনার প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের সময় মৃত্যদণ্ডের আসামী বিনয়ের মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। যা বিবেচনা করেই চরম শাস্তিতে সিলমোহর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য জামিয়ার ভিডিও, পুলিশের ডিউটি রোস্টারে নজর তদন্তকারী দলের
এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে চার আসামী পবন গুপ্তা (২৫), মুকেশ সিং (৩২), বিনয় শর্মা (২৬), এবং অক্ষয় কুমার সিং (৩১)। চারজনেরই ফাঁসি হওয়ার কথা আগামী ৩ মার্চ, ভোর ছ'টায়। এর আগে দুবার পিছিয়ে দেওয়া হয় ফাঁসির দিনক্ষণ, যাতে আইনি মতে বাঁচার সবরকম চেষ্টা করতে পারে আসামীরা। এখনও প্রাণভিক্ষার আবেদন জমা দেয় নি পবন গুপ্তা এবং অক্ষয় কুমার সিং।
আদালত অক্ষয় এবং বিনয়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর আসামীদের আইনজীবী এ পি সিং আদালতে বলেন, "বিনয় তীব্র মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে, সুতরাং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায় না।" ৩০ জানুয়ারি বর্ষীয়ান মেডিকেল অফিসার আকেশ নারাডের তৈরি মেডিকেল রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করার পরে আদালত যদিও বিনয়ের মানসিক অসুস্থতার দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
Read the full story in English