মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে আবারও বড় কূটনৈতিক জয় পেয়েছে ভারত। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ভারতীয় পাইলটকে মালদ্বীপে মোতায়েন হেলিকপ্টার উড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ভারতের দেওয়া হেলিকপ্টারটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে একদল ভারতীয় নাগরিক মালদ্বীপে আসছেন। জরুরি স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য মালদ্বীপকে এই হেলিকপ্টার দিয়েছে ভারত। সম্প্রতি, মালদ্বীপের বিরোধী নেতারা এই হেলিকপ্টারটির কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য মুইজু সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মালদ্বীপ ভারতের জন্য অত্যন্ত কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই ভারত মহাসাগরকে কূটনৈতিকভাবে 'ভারতের পিছনের উঠোন' বলা হয়। মালদ্বীপে মুইজ্জু সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে কারণ মুইজুকে চিনপন্থী বলেই মনে করা হয়। মুইজ্জু তার নির্বাচনী প্রচারপর্ব চালানোর সময় মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ভারতকে তাদের সশস্ত্র বাহিনী ফিরিয়ে নিতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, 'ইন্ডিয়া আউট' স্লোগানে তিনি তার নির্বাচনেও লড়েছিলেন। এখন মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি ক্রমাগত বলে আসছেন যে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মালদ্বীপ থেকে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। চিনপন্থী মইজ্জুও এর জন্য সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন। এখন তার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মালদ্বীপে মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। ভারতীয় সৈন্যদের প্রতিস্থাপনের জন্য সেখানে পৌঁছেছে আরেকটি দল। এই বিশেষ কারিগরি দলের প্রথম ব্যাচ মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছেছে।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে যে ভারতীয় সামরিক কর্মীদের পরিবর্তে, প্রযুক্তিগত দলের কর্মীরা এখন সেদেশে ভারতীয় সম্পত্তি দেখভালের কাজ করবে। এই কর্মীরাই ভারতের দেওয়া হেলিকপ্টারগুলি পরিচালনা করবেন।