কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার মধ্য গুজরাটের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে আপ। ইতিমধ্যেই আপের সিনিয়ার নেতারা একাধিকবার গুজরাট সফরে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে একাধিক সভাও করেন।
বিজেপি’র তরফে জানানো হয়েছে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের আগামী ৩রা নভেম্বরের মধ্যে পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে কীভাবে দল কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আটটি জেলার সমস্ত বিধানসভা আসনে জয়লাভ করতে পারে।
ভাদোদরার একটি হোটেলে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে এদিনের এই বৈঠক। গত প্রায় তিন দশক ধরে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে রাজ্যের মোট ১৮২টি বিধান সভা আসনের মধ্যে ১৫০টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিজেপি যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে তবে তা মাধবসিংহ সোলাঙ্কির নেতৃত্বে ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের ১৪৯টি আসন জয়ের রেকর্ডকেও ভেঙে দেবে।
আরও পড়ুন : < ভারত-পাক সীমান্তে বেড়েই চলেছে ড্রোনের ব্যবহার, বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে সেনাবাহিনী >
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, গুজরাট বিজেপির সভাপতি সিআর পাটিল এবং দলের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রত্নাকরও উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে অমিত শাহ আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনের রণ কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শাহ শনিবার ভালসাদে গুজরাটের দক্ষিণাঞ্চলের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সোমবার তিনি পালনপুরে উত্তর গুজরাটের দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আসন্ন নির্বাচনের রণ কৌশল নির্ধারণ করেন। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯৯টি আসন জিতেছিল, যেখানে বিরোধীদল কংগ্রেস ৭৭টি আসনে জয় পেয়েছিল। রবিবার আসন্ন গুজরাট বিধান সভা নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস বলেছে যে গুজরাটে দল ক্ষমতায় এলে, প্রায় ১৫ লক্ষ বেকার যুবককে চাকরি দেওয়া হবে। গুজরাট কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হিম্মত সিং প্যাটেল এই ঘোষণা করেছেন।