দুর্গাপুজোয় আমিষ খাওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। 'ফরচুন কাচ্চিঘানি' সর্ষের তেলের বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসার পরই দুর্গাপুজোয় আমিষ খাবারের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলে হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি ও সনাতন সংস্থা। এবার ফের একই বিষয়ে চাঞ্চল্য ছড়ালো আহমেদাবাদেও। আহমেদাবাদ এডুকেশন সোসাইটির নির্দেশে বদলে গেল বেঙ্গল কালচার অ্যাসোশিয়েশনের খাবার স্টলের জায়গা। প্রায় সাত দশক ধরে শহরে দুর্গাপুজোর সমস্ত ব্যবস্থা করে এসেছে এই সংস্থা, প্যান্ডেলের পাশাপাশি থাকে খাবারের স্টলও। সম্প্রতি আহমেদাবাদ এডুকেশন সোসাইটির নির্দেশে পুজো প্রাঙ্গনে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের আমিষ খাবারের বিক্রয়। পুজোর আগেই এমন নির্দেশে কার্যত চিন্তায় পড়েছিলেন সংস্থা। আগামী বছর থেকে বেঙ্গল কালচার অ্যাসোশিয়েশন কোথায় খাবারের স্টল দেবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
আরও পড়ুন: 'ফরচুন' তেলের বিজ্ঞাপন বিতর্কে মুখ খুললেন ভোজনরসিক বঙ্গসন্তানরা
BCA সূত্রে খবর, পুজো শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই AES-এর তরফ থেকে BCA-কে জানানো হয় যে, তাঁদের শহরের পুজো প্রাঙ্গনে কোনওরকম আমিষ খাবার বিক্রি করা যাবে না। BCA সেক্রেটারি কনক দাস অধিকারী জানান, "এই সমস্যার কারণে আগামী বছর অন্য জায়গায় স্টল দেওয়া হবে। তবে ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে শহর থেকে খুব বেশি দূরে তা নিয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ এতে প্যান্ডেল দেখার সময় সমস্যায় পড়তে পারেন দর্শনার্থীরা।"
উল্লেখ্য, প্রায় ৩.৫ লক্ষ বাঙালির শহর আহমেদাবাদ। এখানে রয়েছে ১২টিরও বেশি বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন। এগুলির সদস্যরাই দুর্গাপুজোর সমস্ত প্যান্ডেলের দায়িত্বে থাকেন। আর এই সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো BCA। শুধু তাই নয়, পরিসরেও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বড় এই অ্যাসোসিয়েশন। বিসিএ-র অন্যতম সদস্য, আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, "ধর্মীয় উৎসবে এখন রাজনীতির রঙ লেগে তা রাজনৈতিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও জাতির নিজস্ব খাদ্যাভ্যাসে কেউ কখনওই হস্তক্ষেপ করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না।"
তা সত্ত্বেও BCA-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে আমিষ খাবারের ওপর জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা প্যান্ডেলের খাবার বিক্রির ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি, বরং তারা পাশাপাশি এও জানায় যে, খাবারের স্টল থেকে ভালই লাভ পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Read the full story in English