চলে এসেছে এসি হেলমেট! হাসফাঁস গরমেও শীতলতার অনুভূতি মিলবে সহজেই। শহরের ট্রাফিক পুলিশদের জন্য বিরাট স্বস্তি। প্রচণ্ড গরম এখন অতীত। আহমেদাবাদ শহরের অনেক ট্রাফিক পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকে ইতিমধ্যেই হাই-টেক এসি হেলমেট পরে ডিউটি করতে দেখা গিয়েছে। যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সামনে এসেছে।
প্রচন্ড গরমে একটু ‘শীতল বাতাস’ মুহূর্তেই দূর করে দিতে পারে সকল ক্লান্তি। এখন আপনি বাইকে বসেও প্রচন্ড গরমে পেতে পারেন ঠান্ডার অনুভূতি। বাজারে এখন এসি হেলমেট এসে গিয়েছে। যাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে চূড়ান্ত কৌতুহল। ৪৬-৪৮ ডিগ্রি গরমেও এবার থাকুন ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।
আজকাল আহমেদাবাদ শহরের একাধিক ট্রাফিক পয়েন্টে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে হাই-টেক এসি হেলমেট পরে ডিউটি করতে দেখা গিয়েছে। শহরের কয়েকটি পয়েন্টে প্রত্যেক ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর হাতে এই ধরণের এসি হেলমেট তুলে দেওয়া হয়েছে। গরম থেকে স্বস্তি দিতেই এই উদ্যোগ। বর্তমানে, আহমেদাবাদ পুলিশ পাইলট প্রকল্প হিসাবে এসি হেলমেটের পরীক্ষা শুরু করেছে।
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে এসি হেলমেট দ্বিগুণ সুরক্ষা প্রদান করবে। এতে দূষণের পাশাপাশি গরম থেকেও রক্ষা পাবে পুলিশ কর্মীরা। এর ব্যাটারি ব্যাকআপও ভালো। সামনে একটা গ্লাস আছে। যা সূর্যের আলো, ধুলাবালি ও দৃষ্টি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
এই হেলমেটের ব্যাটারি থাকবে কোমরের কাছে। এর ফলে পুলিশ কর্মীদের তাদের কাজ করতে কোন সমস্যা হবে না এবং তারা তাদের মাথায় কোন বোঝা অনুভব করবেন না। এটিতে একটি ছোট কুলিং ফ্যান রয়েছে যা শরীরে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেবে। এসি হেলমেটের ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলেও ৮-১০ ঘন্টা ঠান্ডা থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী এটি চালু বা বন্ধও করা যেতে পারে। হেলমেট থেকে বেরিয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস দেবে ২৪-২৫ ডিগ্রির অনুভূতি।
ট্রাফিক ডিসিপি সাফিন হাসানের মতে, গ্রীষ্মে আহমেদাবাদের গরম প্রায় ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ আধিকারিকরা চেষ্টা করছেন যে এই এসি হেলমেটগুলির পরীক্ষা সফল হলে, সামনের সারিতে নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের এই হেলমেটগুলি দেওয়ার যাতে তারা প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই তাদের ডিউটি অনায়াসেই চালিয়ে যেতে পারেন।