Bharat Bandh 27th September: কৃষি আইনের বর্ষপূর্তির প্রতিবাদে ২৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ভারত বনধ ডেকেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। দেশের বিজেপি-বিরোধী একাধিক দল এই বনধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি চলবে এই বনধ। সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহণ, ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বনধের আওতায় থাকবে। জরুরি পরিষেবার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানকে বনধের আওতায় রাখা হয়েছে। দুধ, সংবাদপত্র, চিকিৎসা পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স, ব্লাড ব্যাঙ্ক থাকবে বনধের আওতার বাইরে।
তবে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা এই বনধের ডাক দিলেও কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, সিপিএম-র মতো বিজেপি বিরোধী দল এই বনধকে সমর্থন করেছে। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে এই বনধের প্রভাব কতটা? তা নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও, একাধিক রাজ্যে পড়বে ২৭ সেপ্টেম্বর বনধের প্রভাব। কংগ্রেস পঞ্জাব, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন। ফলে এই রাজ্যে পরোক্ষভাবে বনধের প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি যে রাজ্যে কংগ্রেস শক্তিশালী বিরোধীপক্ষ সেই রাজ্যেও পালিত হবে বনধ। এমনটাই কংগ্রেস সূত্রে খবর।
পাশাপাশি তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এই বনধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। ফলে স্বভাবতই দক্ষিণের এই দুই রাজ্য প্রভাবিত হবে। এই বনধের অন্যতম শরিক বামদলগুলো। তাই কেরলের এলডিএফ সরকার সংযুক্ত কৃষক মোর্চার ডাকা এই বনধের সমর্থনে সরব হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের বড় প্রতিষ্ঠান এআইবিওসি এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছে তারা। ফলে ব্যাঙ্কিং লেনদেন এবং অন্য পরিষেবা প্রভাবিত হবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন