করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রমাদ গুনছে দেশ। বিপর্যয় ঠেকাতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কোভিড মোকাবিলা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন সাংসদ রাহল গান্ধী। তৃতীয় ঢেউ কীভাবে ঠেকানো যায় এই শ্বেতপত্রে উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাহুল। মোদী সরকারের করোনা মোকাবিলার নানা পদক্ষেপ নিয়ে এর আগে সমালোচনায় মুখর হয়েছে কংংগ্রেস। এই শ্বেতপত্রও কী সেই সমালোচনারই অঙ্গ? জবাবে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে বলেছেন, 'করোনা শ্বেতপত্র প্রকাশের লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তোলা নয়, বরং দেশজুড়ে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের আগে সংক্রমণ মোকাবিলায় সঠিকভাবে প্রস্তুতির দিকনির্দেশ।'
করোনাভাইরাস তার চরিত্র বদলাচ্ছে। রাহুল গান্ধীর আশঙ্কা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ-য়ের পরও রক্ষা মিলবে না। নির্দিষ্ট ব্য়বধানে সংক্রমণের চতুর্থ, পঞ্চম ঢেউ আসবে বলে মনে করেন তিনি। এদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'এটা পরিষ্কার যে, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ-য়ের মোকাবিলা প্রক্রিয়া বিপর্যয়মূল ছিল। শ্বেতপত্রে তার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস তার চরিত্র বদলাচ্ছে। ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের পরও রক্ষা মিলবে না। পর পর এই ধরণের ঢেউ আছড়ে পড়ূবে। তাই শ্বেতপত্রে মাধ্যমে সংক্রমণের মোকাবিলার নানা রুপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।' বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই সংক্রমণ মোকাবিলার পথের হদিশ দেওয়া হয়েছে।
বিপর্যয় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের মুক্তমনা হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। মহামারি মোকাবিলায় টিকাকরণই একমাত্র পথ বলে এই শ্বেতপত্র বলা হয়েছে। কংগ্রেস প্রকাশিত করোনা মোকাবিলার শ্বেতপত্র উল্লেখ, 'সংক্রমণ মোকাবিলার মূল স্তম্ভ হল টিকাকরণ। আগ্রাসী টিকাকরণ কৌশল নির্ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।' দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতাল, অক্সিজেন, ওষুধ নিয়ে দেশে হাহাকার দেখা যায়। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের সময় এই ধরণের সমস্যা এড়াতে হাসপাতাল, অক্সিজেন ও ওষুধের যোগানের বিষয়টি নিয়ে সরকারের প্রস্তুত থাকা দরকার বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার দেশজুড়ে ৮২.৭ লক্ষ্য টিুকাকরণ হয়েছে, যা এ পর্যন্ত রেকর্ড। একদিনে ব্যাপকহারে এই টিকাকরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, এক বা দু-তিন দিন নয়, এইহারে রোজই টিকাকরণের হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। সব শেষে কেন্দ্রকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, 'দ্বিতীয় ঢেউ-য়ে ব্যাপকহারে মৃত্যু এড়ানো যেত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সহ গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাই বাংলায় ভোটের প্রচারে ব্য়স্ত ছিলেন। কারোর করোনা মোকাবিলায় নজর ছিল না। ফলে অনেকগুলো প্রাণ চলে গেল।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন