খুনের হুমকি পেলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) অর্থাৎ রাজনৈতিক সংগঠন মিমের নেতা। গুজরাতে মিমের প্রধান সাবির কাবলিওয়ালা। তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে এসেছে ফোন কলগুলো। কাবলিওয়ালার অভিযোগ, ফোনে অভিযুক্ত নিজেকে ইমরান নামে পরিচয় দিয়েছে। তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, 'মুসেওয়ালাকে মেরেছি, আপনার হালও মুসেওয়ালার মতই হবে।'
২০টিরও বেশি ফোন কল এসেছে তাঁর কাছে। এই ব্যাপারে গুজরাত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবির কাবলিওয়ালা। ফোনে তাঁর কাছে তোলার টাকা চাওয়া হয়েছে বলেই কাবলিওয়ালার অভিযোগ। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে গায়কোয়াড় হাবেলি পুলিশ থানার আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। সাবির কাবলিওয়ালার বাড়ি আহমেদাবাদের আস্তোদিয়ায়। সেখান থেকেই তিনি পুলিশের ১০০ নম্বরে ডায়াল করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই ব্যাপারে বুধবার কাবলিওয়ালা বলেন, 'রাত তখন ৯টা ৫০। আমি রানি সিপরি মসজিদের কাছে নিজের গাড়িতে বসেছিলাম। আচমকা অজানা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন আসে। আমাকে পরিচয় দেয়, তার নাম ইমরান। ফোনে দাবি করে যে সে নাকি সম্প্রতি পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে খুন করেছে। সত্যযুগ মহারাজ নামে একজন আমাকে খুন করার জন্য তাকে ভাড়া করেছে।'
কাবলিওয়ালার অভিযোগ, 'তারপর অভিযুক্ত একটা ভিডিও কল করে। সেখানে ব্যাগ বোঝাই ২,০০০ টাকার নোট দেখা যাচ্ছিল। তারপর বলে আমাকে টাকা দিতে হবে। না-হলে আমাকে খুন করে দেবে। তারপর আরও বলে যে আমি এখন গাড়িতে বসে আছি। আমাকে গাড়িতেই বসে থাকতে বলে। একইসঙ্গে জানায়, তার লোক আমার ওপর নজর রাখছে। তারপর জানায় আমাকে চূড়ান্ত সময়সীমা দিচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের ব্যাংক ডিটেলস পাঠাবে। সেখানেই টাকা পাঠিয়ে দিতে হবে।'
আরও পড়ুন- নারাজ পাওয়ার, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে গোপালকৃষ্ণ-ফারুকের নাম প্রস্তাব মমতার
কাবলিওয়ালা জানান, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পান। সেখানে মিনহাজ খাতুন নামে একজনের এসবিআই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেওয়া হয়। এরপর হুমকিদাতা রাত সাড়ে ১১টার পর ১২টা ভয়েজ কল করে। কিন্তু, তিনি ফোন তোলেননি। এরপর অভিযুক্ত মুসেওয়ালাকে খুনের একটা আধঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ তাঁকে পাঠায় বলেই কাবলিওয়ালার দাবি।
তিনি বলেন, 'এরপরও আমাকে লাগাতার ফোন করে যাচ্ছিল। কিন্তু, আমি তুলিনি। এরপর রাত ১২টার সময় ফোনে একটা অডিও ক্লিপ পাঠায়। সেখানে বলে আমাকে তিন থেকে চার দিন সময় দিচ্ছে। আমি রিং ব্যাক করলে ভালো। না-হলে তিন চার দিনের মধ্যে আমাকে শেষ ইচ্ছা পূরণ করে নিতে বলেছে।'
Read full story in English