Pilot Delays Kolkata Flight for Hilsa Fish: ইলিশ পাচারের অভিযোগে ধুন্ধুমার বাঁধল ঢাকা এয়ারপোর্টে। কলকাতায় ইলিশ চালান করছিলেন বিমানচালক, এবং সেই ঘটনার জেরে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে উড়ল বিমান। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইলিশ পাচারের অভিযোগ ওঠে এক বিমানচালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঢাকা থেকে কলকাতায় ইলিশ পাচারের চেষ্টা করছিলেন তিনি।যদিও বিমান সংস্থার সিকিউরিটি অফিসার পাইলটের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সক্ষম হন, তালেগোলে ৮ অগাস্টের ওই উড়ান প্রায় একঘন্টা পরে যাত্রা শুরু করে। এয়ার ইন্ডিয়ার এক সূত্র জানায়, ৫৪ জন যাত্রী বোঝাই ওই উড়ানের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল ৯:২৫ মিনিটে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে এক বিমান চালকের। তাঁরা জানান, কোনও একটি বস্তু ওই বিমানচালক উড়ানেই বহন করতে চাইছিলেন, তবে রাজী ছিলেন না নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁরা আরও জানান, উড়ান ছাড়ার কিছুক্ষণ আগেই ওই বিমান চালককে ইলিশ সমেত প্রায় আড়াই কেজির একটি বরফ প্যাক দিয়ে যেতে দেখা যায় বিমানসংস্থার এক চুক্তিবদ্ধ কর্মীকে।
আরও পড়ুন: দশ বছর ধরে চিঠি ডেলিভারি না করে বস্তায় জমিয়ে রাখা হয়েছিল ওড়িশার ডাকঘরে
বিমান সংস্থার এক আধিকারিক জানান, বস্তুটি যদি ইলিশ না হয়ে অন্য কিছুও হত, সে ক্ষেত্রেও তা কার্গো হোল্ডেই বহন করতে হত। ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া বিমানে কোনওরকম ফল, শাকসবজি, কাঁচা মাছ, পোল্ট্রি বহন করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে এদিন শেষ অবধি নিজের কর্তব্যে স্থির ছিলেন ওই সিকিউরিটি অফিসার। কাজেই ইলিশের ওই প্যাকেজ ছাড়াই রেগেমেগে প্লেনে ওঠা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না পাইলটের। এরপর এয়ারক্রাফ্ট রিলিজ সার্টিফিকেটে (ARC) সই না করিয়েই এয়ারক্রাফ্টের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দিতে আদেশ দেন ওই সিকিউরিটি অফিসার। এদিকে সই ছাড়া উড়বে না বিমান, নিয়ম এমনই। কাজেই আর কোনো উপায় দেখতে পাননি ওই বিমান চালক।
ইতিমধ্যেই আধ ঘণ্টা দেরির কারণে শোরগোল শুরু হয়। কেন এই বিলম্ব, সেই নিয়ে খোঁজ শুরু করে ঢাকা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটি ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয় এটিসিকে। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝতে পেরে শেষে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ওই বিমানচালক এবং তিনি জানান, তাঁর কাছে ইলিশ বা কোনও নিষিদ্ধ বস্তু নেই। এরপর তিনি এআরসি-তে সই করে আবারও ককপিটে ফিরে যান। অবশেষে সাড়ে দশটা নাগাদ বিমান উড়ে যায় কলকাতার উদ্দেশ্যে।