/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/Child.jpg)
প্রতীকী ছবি
বায়ুদূষণের প্রভাব যে কতটা মারাত্মক পরিসংখ্যান মিলল নয়া বৈশ্বিক সমীক্ষায়। স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার ২০২০ সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অন্তত ১ লক্ষ ১৬ হাজার ভারতীয় সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে বায়ুদূষণের জেরে। এত সংখ্যক শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই মারা গিয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক মৃত্যুর কারণ বাড়ির বাইরের দূষিত বায়ু। বাকি শিশুদের ঘরের মধ্যে কয়লা, কাঠ এবং ঘুঁটের জ্বালানির ধোঁয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। গত বছর ১৬.৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে দূষিত বায়ুর জেরে। দূষণের জেরে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের ক্যান্সার, ফুসফুসের রোগের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে ভারতে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে জন্মের সময় কম ওজন, সময়ের আগে প্রসব এবং অবশ্যই বায়ুদূষণ। এইগুলির কারণে ভারতে শিশুমৃত্যু বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার হেলথ এফেক্টস ইনস্টিটিউটের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকার পরিবেশ সুরক্ষা এজেন্সির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমীক্ষা চালিয়েছে। এই রিপোর্ট যে সময় প্রকাশিত হয়েছে, তখন ভারতে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও কোভিডের সঙ্গে বায়ুদূষণের কোনও যোগসূত্র স্থাপন হয়নি, কিন্তু দূষণের জেরে হার্ট এবং ফুসফুসের রোগ বেড়েছে তার হদিশ মিলেছে। সামনেই শীতের মরশুম। তখন দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বাতাসের দূষণের প্রভাবে রোগের বাড়বাড়ন্ত করোনার প্রকোপ বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন দেশে বাড়ল দৈনিক করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, পাল্লা দিচ্ছে সুস্থতার হারও
বায়ুদূষণের জেরে স্বাস্থ্য সমস্যার বিশেষজ্ঞ ডা. কল্পনা বালাকৃষ্ণণ বলেছেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাস রয়েছে এমন দেশে বায়ুদূষণের জেরে প্রসূতিদের নানান সমস্যা এবং সদ্যোজাত শিশুর শরীরে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। শুধুমাত্র ভূমিষ্ঠ শিশুর কম ওজন বা সময়ের আগে প্রসব এবং শিশুর কম বৃদ্ধির কারণেই নয়। বরং পরিবারের আয়ের উপরও রোগের সঙ্গে লড়াই করার কারণ অনেকটা নির্ভর করে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন