এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় অস্বস্তি বাড়ল পি চিদাম্বরমের। এ মামলায় শুক্রবার চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমকে নোটিস দিল দিল্লি হাইকোর্ট। চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তির আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছিল আদালত। চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্রের আগাম জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে নোটিস দেওয়া হল বলে জানা যাচ্ছে। এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৯ নভেম্বর।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলেকে অভিযুক্ত করার আগে, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এক বিশেষ আদালত ডিএমকে নেতা তথা প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারান, তাঁর ভাই কলানিতি মারান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডির আনা অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এরপর এই দুই সংস্থাই এই কেলেঙ্কারিতে চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলের নাম যুক্ত করে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করে। চিদাম্বরম যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, সে সময়ে এয়ারসেল-মাক্সিসের ৩,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি পাইয়ে দিয়েছিল ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড। এই গোটা বিষয়টিতে বেনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ করেই এই মামলা। এ মামলায় চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্রকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট যায় ইডি।
আরও পড়ুন: মোদীকে চিঠি লেখা বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ক্লোজ, কাঠগড়ায় অভিযোগকারী
এদিকে, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় তিহার জেলে রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চিদাম্বরমকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২১ অগাস্ট রাতে দিল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে নাটকীয়ভাবে চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর ১৫ দিন ধরে সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। এরপরই তাঁকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। চিদাম্বরমের জন্য তিহার জেলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পৃথক সেলে রাখা হয়েছে।
Read the full story in English