মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বৈঠকে দোভাল জানিয়েছেন যে, কোনও দেশকে সন্ত্রাসবাদ রফতানির জন্য আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। তিনি জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে ভারত কখনও আফগান জনগণের প্রয়োজনের সময় তাঁদের ছেড়ে যাবে না। সূত্রের খবর, বৈঠকে দুই দেশ তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব কার্যকর করতে রাজি হয়েছে। বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত মুখ না-খুললেও মস্কোর ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, আঞ্চলিক এবং দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকের ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাস টুইট করেছে, 'জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। ভারত-রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।' বুধবার দু'দিনের রাশিয়া সফর শুরু করেন ডোভাল। সোমবার, নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ জানিয়েছেন যে ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্কে আরও বৈচিত্র্য আনতে চায় রাশিয়া।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই মস্কো সফরের তিন মাস আগে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানে উভয়পক্ষ তাদের সময় পরীক্ষিত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। পাশাপাশি, রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি-সহ নানা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। বুধবার দোভাল আফগানিস্তান নিয়ে রাশিয়া আয়োজিত নিরাপত্তা পরিষদের সচিবদের পঞ্চম বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এই বৈঠকে ইরান, কাজখস্তান, কিরঘিজস্তান, চিন, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেজিস্তানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- পড়শি মেঘালয়ে ভোট, বাংলা থেকে ৫ কোম্পানি বাহিনী চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
কয়েক সপ্তাহ পরেই নয়াদিল্লিতে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। ওই বৈঠকে যোগ দিতে মস্কোর প্রতিনিধি হিসেবে সের্গেই ল্যাভরভ ভারতে আসবেন বলেই আশা নয়াদিল্লির। ১ ও ২ মার্চের ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে নয়াদিল্লিও। কারণ, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা গোটা বিশ্বকে আড়াআড়ি ভাগ করে দিয়েছে। সেখানে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখনও দৃঢ় রয়েছে।
এনিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকা অস্বস্তি প্রকাশ করলেও গত কয়েক মাসে ভারতে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেনি। কূটনীতি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হবে বলেই দাবি করে আসছে।
Read full story in English