ধর্মীয় বিশ্বাস জাতিকে প্রভাবিত করে। এর মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এমনটাই আহ্বান জানালেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তিনি জানান, ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর জন্য চেষ্টা চলছে। প্রতিটি ধর্মীয় সংগঠনকে উপলব্ধি করানো দরকার যে তারা ভারতের অংশ। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিল (এআইএসসিসি) আয়োজিত এক ধর্মীয় সম্মেলনে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি একথা জানান।
শনিবারই দোভালকে অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিলের (এআইএসএসসি) ধর্মীয় সম্মেলন-এ সম্মানিত করা হয়। বক্তব্যে দোভাল জানিয়েছেন, কিছু লোক আছেন যাঁরা ধর্ম ও আদর্শের নামে শত্রুতা তৈরি করে। যা সমগ্র জাতিকে প্রভাবিত করে থাকে। এর মোকাবিলায় ধর্মীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান। দোভাল আরও জানান যে ভুল বোঝাবুঝিগুলো সমাধান করা এবং প্রতিটি ধর্মীয় সংস্থাকে ভারতের অংশ বলে মনে করানোর জন্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- গুজরাত দাঙ্গা মামলা, তিস্তা শীতলবাদ-আরবি শ্রীকুমারের জামিনের আবেদন গুজরাত আদালতে খারিজ
সম্মেলনে দোভাল বলেন, 'কিছু লোক ধর্মের নামে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। যা গোটা দেশে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এব্যাপারে আমরা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। ধর্মীয় বিদ্বেষ মোকাবিলা করতে, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ধর্মীয় সংস্থাকে ভারতের অংশ বলে মনে করাতে হবে। যাতে আমরা একসঙ্গে চলতে পারি। একসঙ্গে ডুবতে পারি।' সম্মেলনে, AISSC-এর নেতৃত্বে ধর্মীয় নেতারা 'PFI'-এর মতো সংগঠন এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত অন্যান্য ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করেন।
সম্প্রতি, নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের সময়ও নীরবতা ভেঙেছিলেন দোভাল। শুধু দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ই নয়। বিদেশি, বিশেষ করে আরবের মুসলিম দেশগুলো নূপুর শর্মার মন্তব্য খোলামনে নেয়নি বলেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন। কড়া নিন্দা করেছিলেন নূপুর শর্মার মন্তব্যের। তারপরও অবশ্য দোভালকেই আরবের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখার জন্য উদ্যোগ নিতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আরব দেশে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, এরপরই তা ধীরে ধীরে শান্ত হয়।
Read full story in English