সোমবারই প্রয়াগরাজে বাঘমবারি মঠে দেহ উদ্ধার হয়েছে মহন্ত নরেন্দ্র গিরির। অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ, ভারতের সাধু-সন্তদের সর্বোচ্চ সংগঠনের সভাপতির রহস্যমৃত্যুতে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে মৃতদেহের কাছ থেকে।
Advertisment
সাত পাতার সেই নোটে মহন্ত তাঁর শিষ্য তথা যোগগুরু আনন্দ গিরি এবং আর দুজনকে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি মুকুল গোয়েল জানিয়েছেন, সেই নোটটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি টিম হরিদ্বারে পৌঁছেছে। সেখানেই আনন্দ গিরিকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেল ৫.২০ নাগাদ মহন্তের এক শিষ্য পুলিশকে খবর দেন এবং জানান, মহন্তের দেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। বাঘমবারি মঠের বাসভবনেই দেহ উদ্ধার হয় মহন্তের। শিষ্য পুলিশকে জানান, তাঁরা দড়ি কেটে দেহ নীচে নামান।
अखाड़ा परिषद के अध्यक्ष श्री नरेंद्र गिरि जी का देहावसान अत्यंत दुखद है। आध्यात्मिक परंपराओं के प्रति समर्पित रहते हुए उन्होंने संत समाज की अनेक धाराओं को एक साथ जोड़ने में बड़ी भूमिका निभाई। प्रभु उन्हें अपने श्री चरणों में स्थान दें। ॐ शांति!!
২০১৬ সালে নরেন্দ্র গিরি আখাড়া পরিষদের দায়িত্ব নেন। তাঁর কার্যকালেই আখাড়া ভুয়ো সাধুদের তালিকা প্রকাশ করে শোরগোল ফেলে দেয়। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র গিরি দ্বিতীয়বার আখাড়ার প্রধান নির্বাচিত হন। এবছর এপ্রিলে মহাকুম্ভের সময় নরেন্দ্র গিরি করোনায় আক্রান্ত হন। গত কয়েক মাস ধরে মহন্ত প্রকাশ্যে আনন্দ গিরির সঙ্গে সংঘাতে জড়ান। দুপক্ষই একে অপরকে তহবিল তছরুপ নিয়ে দোষারোপ করতে থাকেন।
अखिल भारतीय अखाड़ा परिषद के अध्यक्ष पूज्य नरेंद्र गिरी जी का निधन, अपूरणीय क्षति!
ईश्वर पुण्य आत्मा को अपने श्री चरणों में स्थान व उनके अनुयायियों को यह दुख सहने की शक्ति प्रदान करें।
মহন্ত জানিয়েছিলেন, আনন্দ গিরিকে নিরঞ্জনী আখাড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কারণ, তিনি আখাড়ার ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। এদিকে, আনন্দ গিরি আবার মহন্তের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়ে নেন। মহন্তের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু যোগী আদিত্যনাথ, অখিলেশ যাদব-সহ অনেকেই শোকজ্ঞাপন করে টুইট করেন।