গত কয়েক মাস ধরেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছে কর্নাটক। দেশজুড়ে যা নিয়ে চর্চা চলেছে। এবার এ দেশের হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আল-কায়দা প্রধান আয়েমান আল জাওয়াহিরি। উপমহাদেশীয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। ইসলামের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে সংবাদ মাধ্যমকে বুদ্ধিদিপ্তভাবে ব্যবহার করা ও যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন জাওয়াহিরি।
কর্নাটকের একটি কলেজে একদল উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদী যুবকের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান তুলে শিরোনামে উঠে এসেছেন বোরখা পরা মুসলিম তরুণী মুসকান। নেট মাধ্যমে ভাইরাল মুসকান খান নামের ওই তরুণীর সাহসিকতার ভিডিও। যা পৌঁছে গিয়েছে আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরির কাছেও। এরপরই জাওয়াহিরি মুসকানের প্রশংসা করেছেন। প্রকাশিত এক ভিডিওতে মুসকানকে নিয়ে নানা কথা বলতে গিয়ে কবিতাও লিখেছেন আল কায়দা প্রধান। জানিয়েছেন যে, ভারতীয় ওই তরণীর ব্যবহারে অনুপ্রাণিত তিনি, তাই কবি না হলেও কবিতা লিখেছেন। সাহিসকতার জন্য মুসকানের এতটুকু উপহার প্রাপ্য।
জাওহিরি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। রয়েছিল যে ২০২০ সালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যা অস্বীকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। তারপর সংগঠনের তরফে একাধিক জাওহিরির একাধিক ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। তবে, তার বেশিরভাগই ঐতিবাসিক দ্বন্দ্ব ও মতাদর্শগত বিষয়ের। কিন্তু বুধবার আল কায়দার মুখপত্র সংবাদ মাধ্যম ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সমসাময়িক হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আল কায়দা প্রধান। ফলে তাঁর মৃত্যুর খবর যে ভুয়ো তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
উপমহাদেশের মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় জাওয়াহিরি বলেছেন, 'আমাদের অবশ্যই ভারতের হিন্দু গণতন্ত্রের মরীচিকা দ্বারা প্রতারিত হওয়া বন্ধ করতে হবে, যা শুরু থেকেই ইসলামকে নিপীড়নের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে এই বাস্তব জগতে মানবাধিকার বা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা বা আইন বা এই জাতীয় অন্যান্য অযৌক্তিক অনুমানমূলক ধারণা বলে কিছু নেই।'
জাওয়াহিরির মতে, পশ্চিমীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিল, যার প্রকৃত স্বরূপ ফ্রান্স, হল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডে প্রকাশিত। ওইসব প্রকাশ্যে নগ্নতার অনুমতি দেওয়ার সময় হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল। ইসলামের শত্রুরা এক এবং অভিন্ন, যাঁরা মিশর এবং মাগরেবে মুসলমানদের হিজাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা একই সুবিধাবাদী গুণ্ডা…লেখক, সাংবাদিক, এমনকি ভাড়া করা পাগড়িওয়ালা যারা হিজাব এবং ইসলামী শরীয়াহকে অপমান করে। এটা ইসলাম, এর মূল মতবাদ, এর আইন, নৈতিকতা এবং শিষ্টাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।'
আল কায়দা প্রধানের দাবি, 'ইসলামের উপর যাতে আঘাত না আসে তার জন্য প্রথমে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অনেক নীতিই ইসলামকে রক্ষা করে না, বরং তারা সেই শত্রুদেরই রক্ষা করে যাদের তারা ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দিয়েছে।'
হিজাব নিয়ে আস কায়দা শীর্ষ পদাধিকারীর ভিডিও বার্তায় অশনি সংকেত দেখছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। জাওহিরির ভিডিও বার্তা বিতর্কে ঘৃতাহুতি বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে সতর্ক এ দেশের নিরাপত্তা বিভাগ।
Read in English
ভারতে হিজাব বিতর্ক: মুখ খুললেন আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরি, প্রতিবাদী মুসকানের প্রশংসা
‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান তুলে শিরোনামে উঠে আসা তরুণী মুসকানেরও প্রশংসা করেছেন জাওহিরি। লিখেছেন কবিতা।
Follow Us
গত কয়েক মাস ধরেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছে কর্নাটক। দেশজুড়ে যা নিয়ে চর্চা চলেছে। এবার এ দেশের হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আল-কায়দা প্রধান আয়েমান আল জাওয়াহিরি। উপমহাদেশীয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। ইসলামের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে সংবাদ মাধ্যমকে বুদ্ধিদিপ্তভাবে ব্যবহার করা ও যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন জাওয়াহিরি।
কর্নাটকের একটি কলেজে একদল উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদী যুবকের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান তুলে শিরোনামে উঠে এসেছেন বোরখা পরা মুসলিম তরুণী মুসকান। নেট মাধ্যমে ভাইরাল মুসকান খান নামের ওই তরুণীর সাহসিকতার ভিডিও। যা পৌঁছে গিয়েছে আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরির কাছেও। এরপরই জাওয়াহিরি মুসকানের প্রশংসা করেছেন। প্রকাশিত এক ভিডিওতে মুসকানকে নিয়ে নানা কথা বলতে গিয়ে কবিতাও লিখেছেন আল কায়দা প্রধান। জানিয়েছেন যে, ভারতীয় ওই তরণীর ব্যবহারে অনুপ্রাণিত তিনি, তাই কবি না হলেও কবিতা লিখেছেন। সাহিসকতার জন্য মুসকানের এতটুকু উপহার প্রাপ্য।
জাওহিরি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। রয়েছিল যে ২০২০ সালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যা অস্বীকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। তারপর সংগঠনের তরফে একাধিক জাওহিরির একাধিক ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। তবে, তার বেশিরভাগই ঐতিবাসিক দ্বন্দ্ব ও মতাদর্শগত বিষয়ের। কিন্তু বুধবার আল কায়দার মুখপত্র সংবাদ মাধ্যম ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সমসাময়িক হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আল কায়দা প্রধান। ফলে তাঁর মৃত্যুর খবর যে ভুয়ো তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
উপমহাদেশের মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় জাওয়াহিরি বলেছেন, 'আমাদের অবশ্যই ভারতের হিন্দু গণতন্ত্রের মরীচিকা দ্বারা প্রতারিত হওয়া বন্ধ করতে হবে, যা শুরু থেকেই ইসলামকে নিপীড়নের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে এই বাস্তব জগতে মানবাধিকার বা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা বা আইন বা এই জাতীয় অন্যান্য অযৌক্তিক অনুমানমূলক ধারণা বলে কিছু নেই।'
জাওয়াহিরির মতে, পশ্চিমীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিল, যার প্রকৃত স্বরূপ ফ্রান্স, হল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডে প্রকাশিত। ওইসব প্রকাশ্যে নগ্নতার অনুমতি দেওয়ার সময় হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল। ইসলামের শত্রুরা এক এবং অভিন্ন, যাঁরা মিশর এবং মাগরেবে মুসলমানদের হিজাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা একই সুবিধাবাদী গুণ্ডা…লেখক, সাংবাদিক, এমনকি ভাড়া করা পাগড়িওয়ালা যারা হিজাব এবং ইসলামী শরীয়াহকে অপমান করে। এটা ইসলাম, এর মূল মতবাদ, এর আইন, নৈতিকতা এবং শিষ্টাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।'
আল কায়দা প্রধানের দাবি, 'ইসলামের উপর যাতে আঘাত না আসে তার জন্য প্রথমে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অনেক নীতিই ইসলামকে রক্ষা করে না, বরং তারা সেই শত্রুদেরই রক্ষা করে যাদের তারা ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দিয়েছে।'
হিজাব নিয়ে আস কায়দা শীর্ষ পদাধিকারীর ভিডিও বার্তায় অশনি সংকেত দেখছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। জাওহিরির ভিডিও বার্তা বিতর্কে ঘৃতাহুতি বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে সতর্ক এ দেশের নিরাপত্তা বিভাগ।
Read in English