পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সম্ভাব্য হামলা নিয়ে পাকিস্তানের কাছে খবর ছিল, সে কথা ভারতকেও জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী জানিয়েছেন সানডে এক্সপ্রেসকে।
সম্প্রতি কিরঘিজস্থানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সামিটে ভারত এবং পাকিস্তান দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন। ওই একই মঞ্চে মোদী চিনা প্রধানমন্ত্রী জি শিংপিংকে বলেছেন "পাকিস্তানকে আলোচনার জন্য সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। নয়াদিল্লি এখনও পর্যন্ত সে ধরণের কোনও পদক্ষেপ ইসলামাবাদের তরফে দেখতে পায়নি"।
দেশের নিরাপত্তা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "হামলা সংক্রান্ত তথ্য পাকিস্তান থেকে ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। মার্কিনদের সঙ্গেও তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল। আমরা মার্কিনদের থেকেই তথ্য পেয়েছি"।
আরও পড়ুন, একই ঘরে ৯ ঘণ্টা, তবু সম্পর্ক আগের মতোই শীতল
পাকিস্তানিরা মনে করছেন হামলা হয়েছে জাকির মুসাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই। মুসা আল কায়দার আদর্শে বিশ্বাসী আনসার গাজওয়াত উল হিন্দ গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন। গত মাসে ত্রাল এলাকায় এক অভিযানে মুসা নিহত হন। পুলিশ জানিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীতে এক সময় ১২-১৩ জন জঙ্গি ছিল। বর্তমানে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ থেকে ৩ জন।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পুলওয়ামা হামলার পালটা জবাব হিসেবে ভারত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করে। হামলা পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে কালো তাইলিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
নিরাপত্তা দফতরের আধিকারিক জানালেন, "পাকিস্তান দুটো কারণে হামলার খবর আগে থেকে জানাতে পারে। আগে তেকে ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে দায় এড়াতে চাইছে। কারণ আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হামলা সংক্রান্ত রয়েছে। অথবা পাকিস্তান সত্যিই আল কায়দা গোষ্ঠীর সম্ভাব্য হামলা নিয়ে প্রতিবেশী দেশকে সতর্ক করতে চাইছে"।
Read the full story in English