ছয় বছর ধরে বন্দরে জমা ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। তাতেই আগুন ধরে ঘটে বিস্ফোরণ। কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে লেবাননের রাজধানী বেইরুট। নিহত শতাধিক। জখমের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে উগ্যোগী হল কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর বোর্ড ও কাস্টমস। বেইরুটের ঘটনা উল্লেখ করে 'জরুরি ভিত্তিতে' বোর্ডের নির্দেশ, 'যেসব গুদাম বা বন্দরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রয়েছে সেখানকার সুরক্ষা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উপযুক্ত কিনা, বর্তমানে প্রাণহানির ভয় রয়েছে কিনা তা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খতিয়ে দেখতে হবে।' সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ে বিপুল পরিমাণ অ্যমোনিয়াম নাইট্রেট জমা আছে। তাই বিশেষভাবে চেন্নাইকে সতর্ক করা হয়েছে। কাস্টমসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'মজুত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কি উপায়ে দ্রুত স্থানান্তর করা যায় তার অনুসন্ধান চলছে।'
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কাস্টমস আধিকারিক বলেছেন, 'সুরক্ষা বিধির কথা বিবেচনা করে এই সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করা কঠিন কাজ। আইন অনুসারে অন্যান্য বাজেয়াপ্ত পণ্যের মতো বহু দিন ধরে মজুত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের অনলাইনে নিলাম ডাকা যেতে পারে।'
নিয়ম না মেনে আমদানি করায় ২০১৫ সালে কারুর স্থিত আম্মান কেমিক্যালসের অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস । তারপর থেকে ৩৭ কন্টেনার বোঝাই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট চেন্নাই বন্দরের গুদামেই পড়ে রয়েছে। যার আনুপাতিক বাজার মূল্য প্রায় ১.৮০ কোটি টাকা। সার তৈরির জন্য এই পণ্য আমদানি করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
এত বিপুল সংখ্যক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে যে কোনও মুহূর্তে বেইরুটের মতো কিছু একটা হয়ে যেতে পারে, এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পিএমকে দলের প্রতিষ্ঠাতা এস রামদাস। তিনি সরকারকে এই নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কাস্টমসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'শহর থেকে ২০ কিমি দূরে মানালিতে বাজেয়াপ্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কন্টেনারগুলো রয়েছে। এর ২ কিমির মধ্যে কোনও লোকালয় নেই। নিরাপদে রাখা আছে সেগুলো। সব সুরক্ষা বিধি মেনেই দ্রুত সেগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে।'
২০১১ সালের জুলাইতে বিস্ফোরক আইনের আওতায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে বিস্পোরখ বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, আম্মান কেমিক্যালস এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন