হিন্দি সিনেমা থেকে শুরু করে সর্বত্র শুনতে পাওয়া যায়, আলিবাগ সে আয়া কেয়া! অনেক হয়েছে। এসব আর চলবে না। খুব রেগে গেছেন রাজেশ ঠাকুর। রাজেশ আলিবাগের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, কাউকে বোকা ঠাওরাতে আলিবাগের নাম ব্যবহার করার যে অভ্যেস দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা শুধু আপত্তিকরই নয়, আলিবাগ অঞ্চলের মানুষের মর্যাদার পক্ষেও হানিকর।
মামলার আবেদনকারী রাজেশ ঠাকুর, নিজে ওই এলাকার বাসিন্দা. পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, বিভিন্ন বৈঠকে এই শব্দবন্ধ তাঁকে শুনতে হয়। তিনি ব্যবসা ঠিকমতো বোঝেন না, এই কথাটা উপলব্ধি করানোর জন্যই মূলত লোকজন এলকার নাম তুলে খোঁটা দেন তাঁকে। পিটিশনে বলা রয়েছে, ''প্রত্যেকবার যখন আবেদকারী এই বাক্যটা শোনেন, প্রত্যেকবার তাঁর ভাবাবেগে আঘাত লাগে। এই শব্দগুলোর ব্যবহার প্রত্যেকবার আবেদনকারী ও আলিবাগের আবাসিকদের মধ্যে বিরূপ মানসিক ধারণা তৈরি হয়''।
আরও পড়ুন, মৃত্যুফাঁদ থেকে ৪৮ ঘন্টার চেষ্টায় উদ্ধার হল আঠারো মাসের শিশু
পিটিশনে আরও বলা আছে, আলিবাগ রায়গড় জেলার উপকূলীয় শহর এবং পুর পরিষদ। মহারাষ্ট্রের এই শহর পর্যটন কেন্দ্রও বটে। ২৭টির মতো বেড়ানোর জায়গা রয়েছে আলিবাগে। পাশাপাশি এই জায়গা ইতিহাস ও সংস্কৃতিতেও সমৃদ্ধ। জেলার অন্যান্য গ্রামের তুলনায় শিক্ষার হারও এখানে বেশি।
উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন ধনী ও নামকরা ব্যক্তিরা উইকেন্ড কাটানোর জন্য এখানে বাড়ি করে রেখেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা শাহরুখ খান, প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেণ্ডুলকর, রবি শাস্ত্রী, সুনীল গাভাস্কর, ব্যবসায়ী রতন টাটা, গোদরেজ, অশোক মিত্তল ও সিংহানিয়া (রেমণ্ড) এবং গয়িকা আলিশা চিনাই।
আরও পড়ুন, ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটে বন্ধ হল দেনায় জর্জরিত জেট-এর পরিষেবা
হাইকোর্টে রাজেশের আবেদন, রাজ্য সরকার যেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রক ও সিবিএফসিকে হিন্দিতে ''কয়্যা কে আলিবাগ সে আয়া কয়্যা'' এবং মারাঠিতে ''কাইরে, আলিবাগ ভরুণ আলা কে'' ধরনের বাক্য সিনেমা, ধারাবাহিক ও কমেডি শো ভবিষ্যতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলে। এই সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রধান বিচারপতি নরেশ পাটিল ও এন এম জামদারের বেঞ্চ আবেদন জমা দেওয়া হয়। দু'সপ্তাহ পর শুনানি তারিখ পড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।
Read the full story in English