Advertisment

আলিগড় শিশুহত্যায় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচার অভিযুক্তদের

মামলার তদন্তের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করে এবং তদন্তের স্বার্থে আগ্রার পরীক্ষাকেন্দ্রে বেশ কিছু ফরেনসিক নমুনা পাঠানো হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে তিন বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার দুই ব্যক্তির উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে এবং তদন্তের স্বার্থে আগ্রার পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ কিছু ফরেনসিক নমুনা পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত ক্ষোভের বশে শিশুটিকে খুন করে তার দুই হাত কেটে ফেলা হয়। এই ঘটনায় আলিগড়ের বাসিন্দা জাহিদ (২৭) এবং আসলম (৪২) নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisment

ঘটনার পর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে "হত্যাকারীদের বিচারের" দাবি জানান এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘটনাটিকে "অমানবিক অপরাধ" বলে অভিহিত করেন।

এদিন কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে রাহুল গান্ধী বলেন, "আলিগড়ের শিশুটির ঘটনায় আমি দুঃখিত এবং স্তম্ভিত। একজন মানুষ কীভাবে একটি শিশুর সঙ্গে এই ধরনের পাশবিক আচরণ করতে পারে? এই ধরনের নৃশংস ঘটনা শাস্তিহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।" অপরদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি টুইটে বলেন, "নির্দোষ সন্তানের বিরুদ্ধে আলিগড়ের এই নৃশংস হত্যাকান্ড অমানবিক অপরাধ। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাবার কী মানসিক অবস্থা তা আমি চেষ্টা করলেও বুঝতে পারব না। কী হয়ে গিয়েছি আমরা?"

আরও পড়ুন: অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ‘বিদেশি’ তকমাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনাকর্মীর জামিন মঞ্জুর

প্রসংত, গত শুক্রবার শিশুটিকে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পাওয়া না গেলে তার নামে অপহরণের একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। রবিবারেই শিশুটির বাড়ির পঞ্চাশ ষাট মিটারের মধ্যে একটি জঞ্জালের স্তূপের মধ্যে পাওয়া যায় তার আংশিক পচাগলা দেহ। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুটিকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আলিগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার আকাশ কুলহারি বলেন, "ময়না তদন্তের রিপোর্টে ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা বা অ্যাসিড খাওয়ানোর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার শরীরে কোনওরকম অ্যাসিডের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। সোশাল মিডিয়াতে কিছু পোস্টে বলা হচ্ছে তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু আদপে সে সব কিছু হয় নি।" পুলিশ সুপার এও জানিয়েছেন যে, এই ঘটনাটিতে কোনওরকম সাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া নেই, এবং এলাকাতেও সেরকম কোনো অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি।

uttar pradesh Murder
Advertisment