প্রত্যন্ত এলাকায় চা বাগানে অনেক মানুষ রয়েছে যাঁরা সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিতই শুধু নন, সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার খবর তাঁদের কাছে পৌঁছয় না। তাঁদের কাছে পৌঁছকে হবে সরকারকেই। গত ১১ জুলাই উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসককে এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অনুসারে, রবিবার মধু চা বাগানে প্রথম সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল জেলা প্রশাসন।
‘আপনার বাগানে প্রশাসন, সরকার বাগানকে দুয়ার’ শীর্ষক এই কর্মসূচিকে সফল করতে এদিন মোট ২৩টি স্টল বসান হয়েছিল সেখানে। এই বাগানের অধিকাংশ শ্রমিকই সাদ্রিভাষী। তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তোলার প্রয়াসে জেলাশাসক এদিন তাঁর বক্তব্য রাখা শুরু করেন সাদ্রি ভাষায়। পরে জেলাশাসক নিখিল নির্মল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, ‘‘এদিনের স্টলগুলি থেকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জানানো হয় বাগানবাসীদের। কীভাবে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়, কীভাবে ফর্ম ফিল আপ করতে হয়, সে সব ব্যাপারেও প্রাথমিকভাবে হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়া হয়। এদিনের কর্মসূচিতে প্রায় ২০০০ বাগানবাসী হাজির ছিলেন।’’
মেলা থেকে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৭০ জন বাগানবাসী
এদিনের এই মেলা সফল করতে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের ১৬টি বিভাগই তৎপর ছিল বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মিশন নির্মল বাংলা, বাংলার আবাস যোজনা এবং মানবিক পেনশন প্রকল্পের মতন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে প্রচার ছাড়াও সুবিধাপ্রাপকদের নাম নথিভুক্ত করা এবং অভিযোগ থাকলে সে ব্যাপারে তৎকাল ব্যবস্থা নেওয়াই এই মেলার উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন, Mamata surprises DM: মঞ্চে জেলাশাসকের জন্মদিন পালন
মধু চা বাগানে রবিবারের কর্মসূচি থেকে মোট প্রায় ৭০ জন বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এর মধ্যে সবুজসাথী প্রকল্পের অন্তরভুক্ত সাইকেল প্রদানের মত কর্মসূচির সঙ্গে ছিল মশারি প্রদান কর্মসূচিও।