Advertisment

রাজকোষ রক্ষা করবে কে? চাকরির পরীক্ষায় ডাহা ফেল সবাই!

পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক পাশ।  ৫০ শতাংশ নম্বর নম্বর পেলেই পরের ধাপের পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা অর্জন করা যেত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

৮০টি পোস্টের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল ৮০০০ প্রার্থী

শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৮০। তার জন্য আবেদন করেছিলেন ৮০০০ প্রার্থী। কিসের পরীক্ষা? গোয়ার সরকারি অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদের। লিখিত পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে সম্প্রতি। পরীক্ষার ফলাফল অভাবনীয় এবং নজিরবিহীন। কোনও প্রার্থীই উতরোতে পারেননি লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম পাশ নম্বর।

Advertisment

কলেজে ভর্তির কাট অফ নম্বর যাচ্ছে ৯৯.৯৯ শতাংশ, দেশের প্রথম সারির কলেজের চেনা ছবি এটা। ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েও নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ না পাওয়ায় আত্মঘাতী পড়ুয়া, আমাদের দেশে এও কিছু নতুন নয়। তবে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ৮০০০ প্রার্থীর মধ্যে একজনেরও প্রথম ধাপ উতরোতে না পারার ঘটনা হয়তো এই প্রথম।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি হয়েছিল লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে। পাঁচ ঘণ্টার পরীক্ষায় ১০০ নম্বর ছিল ইংরেজির ওপর। বাকিটা ছিল সাধারণ জ্ঞান এবং অ্যাকাউন্টস এর পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক পাশ।  ৫০ শতাংশ নম্বর বগলদাবা করতে পারলেই প্রার্থী নির্বাচিত হবে পরবর্তী ধাপের জন্য। পরবর্তী ধাপ ওরাল ইন্টার্ভিউ। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের অ্যাকাউন্টস দফতরের ডিরেক্টর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানালেন, একজন প্রার্থীও পাশ করেননি লিখিত পরীক্ষায়।

আরও পড়ুন, চাকরি কই? প্রশ্ন তুললেন নিতিন গড়করি

চাকরিপ্রার্থীদের এই ব্যর্থতায় সে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন গোয়ার আম আদমি পার্টির সাধারণ সচিব প্রদীপ পদ্গাওকর। লিখিত পরীক্ষার খবর প্রকাশে 'অনর্থক' দেরিরও সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, "গোয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ধসে পড়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার অধীনে কলেজও রয়েছে, যেখানে কমার্স পড়ানো হয়- এরকম রাজ্যে এ ঘটনা লজ্জাজনক"।

Goa Education
Advertisment