করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রেলমন্ত্রক। ২২ মার্চ রাত পর্যন্ত গুটি কয়েক লোকাল ও কলকাতা মেট্রো চললেও সোমবার থেকে সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে, পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। রেল বোর্ডের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
সংক্রমণের মোকাবিলায় রবিবার দেশজুড়ে চলছে জনতা কার্ফু। যার জেরে এদিন সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাতিলের তালিকায় রয়েছে বহু দূরপাল্লার ট্রেনও। লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যহারে কমানো হয়েছে। শুধুমাত্র দূরপাল্লার যেসব ট্রেন যাত্রা পথে রয়েছে সেগুলোই রবিবার চলেছে। মেট্রোর চলছে অন্যান্য দিনের থেকে কম। ফলে যাত্রীবাহী ট্রেন যে বন্ধ করা হতে পারে তার আগাম আভাস মিলেছিল।
আগেই দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধের দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে বাংলায় যাত্রীবাহী ট্রেন প্রবেশ করছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই এরাজ্যে পাঠানো হচ্ছে লোকজনকে। বার বার বলা সত্ত্বেও ট্রেন চলাচলে লাগামও টানা হয়নি। যার ফলে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশিদের মতো ভিন রাজ্য থেকে আসা লোকজনকেও ১৪দিন বাড়ির বাইরে না বেরোতে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'ট্রেন বন্ধের দাবি না শুনলে রাজ্যের বাইরে ট্রেন আটকে দেওয়া হবে।'
এদিকে জনতা কার্ফুর মধ্যেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। এদিন করোনাভাইরাসে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মারণ ভাইরাসে দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬।
ভারতে করোনা সংক্রমণ দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করছে। এই সময়কালে সংক্রমণ ছড়ানোর হার থাকে প্রবল। যা রুখতেই মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর প্রশাসন। তার জন্যই ভারতের যোগাযোগের 'লাইফলাইন' ট্রেন বন্ধ করে দিল মোদী সরকার।