কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে নির্বাচন করার কী মারাত্মক ফল হতে পারে তা আঁচ করতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন, উচ্চ আদালত এবং সরকার। করোনা আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেরে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এইভাবেই ভর্ৎসনা করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরোনার প্রথম ঢেউ শহরে তাণ্ডব করলেও গ্রামবাসীদের ছুঁতে পারেনি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেরে এবার গ্রামেও ঢুকে পড়েছে মারণ ভাইরাস।
আদালতের মতে, রাজ্য সরকার শহুরে এলাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে নাজেহাল। একইসঙ্গে গ্রামগুলিতে টেস্টিং, সংক্রমণ চিহ্নিত করা এবং বিরাট সংখ্যক জনগণকে চিকিৎসা দেওয়া প্রশাসনের পক্ষে একপ্রকার অসম্ভব। বিচারপতি সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসনের প্রস্তুতি এবং চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামগুলিতে প্রচুর এফআইআর দায়ের হয়েছে। অপরাধ প্রবণতাও গ্রামে অনেক বেশি।
বিচারপতির মন্তব্য, গোটা পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের জেরে বহু অভিযুক্ত সংক্রমিত। এমনকী অনেকের সংক্রমণ চিহ্নিতও করা হয়নি। এই কারণেই অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিতে বাধ্য হচ্ছে বিচারব্যবস্থা। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বহু উপায়ে অভিযুক্ত সংক্রমিত হতে পারে। জেলবন্দি, পুলিশ বা আদালতের কর্মীদের থেকেও। কোনও যথাযথ টেস্টিং, চিকিৎসা এবং যত্ন জেলে পায় না কয়েদিরা।