পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল। ভারত তথা গোটা বিশ্বের গর্বের সৌধ এই তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিতে তৈরি করেছিলেন এই আশ্চর্য সৌধ। প্রেমের প্রতীক হিসাবে পরিচিত এই তাজমহলই কি না এখন রোষের মুখে। তাজমহল নিয়ে ক্ষুব্ধ হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের দাবি, ভগবান শিবের মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে তাজমহল। তেজো মহালয়া নামে সেই মন্দিরের অস্তিত্বের দাবিতে সরগরম। এবার সেই নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে এই আবেদনে যে তাজমহলের ২০টি ঘর খুলে মন্দিরের অস্তিত্ব খতিয়ে দেখা হোক। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট পাল্টা মামলাকারীকেই তীব্র ভর্ৎসনা করল। সাফ জানিয়ে দিল, জনস্বার্থ মামলার উপহাসে পরিণত করবেন না। আগে গবেষণা করুন, এম এ-পিএইচডি করুন তার পর আসুন। বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং সুভাষ বিদ্যার্থীর বেঞ্চ এদিন এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করেছে মামলাকারীকে, বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী।
আরও পড়ুন আইনত যৌন কর্মীরা না বলতে পারেন, কিন্তু বিবাহিত মহিলারা নয়: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি
জানা গিয়েছে, ডা. রজনীশ সিং নামে একজন এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর দাবি, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাজমহলের ২০টি ঘর খুলে খতিয়ে দেখুক এই সৌধের নির্মাণ-বিতর্ক সমাধান করতে। তাঁর দাবি, এটি আগে শিবমন্দির ছিল। যার নাম তেজো মহালয়া।
এমনকী তাঁর আবেদন, সরকার একটি সত্য-সন্ধান কমিটি গড়ে এই সৌধের প্রকৃত ইতিহাস খুঁজে বের করুক। আদালতের পাল্টা বক্তব্য, "আপনি তর্কে যোগ দিন কিন্তু ড্রইংরুমে, আদালতে নয়।"