/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/lakhimpur-kheri-ashish-mishra.jpg)
অভিযুক্ত আশিস মিশ্র।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিরর ছেলে আশিস মিশ্রের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। আশিস লখিমপুর খেরি হিংসা মামলায় অভিযুক্ত। চলতি বছর এপ্রিলে আত্মসমর্পণের পর থেকে আশিস কারাগারে বন্দি।
গত বছরের অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে তিকোনিয়া ক্রসিংয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন চারজন কৃষক এবং একজন সাংবাদিককে একটি এসইউভি পিষে দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ এই পৈশাচিককাণ্ডের মূল পাণ্ডা ছিলেন আশিস। ১৫ জুলাই, লখনউ বেঞ্চ বয়ান রেকর্ডিং সম্পূর্ণ করার পরে এই মামলায় আদেশ সংরক্ষণ করেছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি কৃষাণ পাহাল আশীষ মিশ্রের জামিন আবেদন খারিজ করেন। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আশিসকে জামিন দেয় বেঞ্চ। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে নিহতের আত্মীয়রা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।।
18 এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট আশিসকে দেওয়া জামিন বাতিল করে এবং তাঁকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল। আশিসকে জামিন দেওয়া উচিত কিনা তা পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালত বিষয়টি হাই কোর্টে বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠায়। ছয় দিন পর, আশিস লখিমপুর খেরির স্থানীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করে এবং তাঁকে জেলে পাঠানো হয়।
গত বছরের 3 অক্টোবর, লখিমপুর খেরির তিকোনিয়া ক্রসিংয়ে কেন্দ্রে কৃষক আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন কৃষকরা। অভিযোগ, অজয় মিশ্রের মালিকানাধীন একটি থার সহ তিনটি এসইউভির ওই বিক্ষোভকারী কৃষকদের পিষে দেয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরবর্তী হিংসায় দুই বিজেপি কর্মী এবং থার গাড়ির চালকেরও প্রাণ যায়।
কৃষক ও সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আশিস সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। 3 জানুয়ারী, এসআইটি আশিস এবং তাঁর কাকা বীরেন্দ্র শুক্লা সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্যশিট দাখিল করে, যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছিল। বীরেন্দ্র শুক্লাকে অবশ্য ১১ জানুয়ারি লখিমপুর খেরি আদালত জামিন দেয়। শুক্লা বাদে বাকি অভিযুক্তরা এখনও কারাগারে বন্দী।
ইতিমধ্যে, দুই বিজেপি কর্মী এবং মিশ্রের চালকের পরবর্তী মৃত্যুর ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২১ জানুয়ারি, বিশেষ তদন্তকারী দল এই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে, প্রাণাম না মেলায় অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।