জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা বারাণসী আদালতে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলা বন্ধের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এর আগে বারাণসী আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোপাঠের অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা শ্রিংগার গৌরী-সহ অন্যান্যরা। সেই মামলার গুরুত্ব আছে বুঝিয়ে দিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্ট বারাণসী আদালতে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি বারাণসী আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিল। তাদের আবেদন ছিল মামলাটি বন্ধ করার। কিন্তু, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বারাণসী আদালতে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তারপরই বারাণসী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।
বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের পর আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। সংগঠনটি বলেছে যে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ বারাণসী আদালতের কার্যপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই ব্যাপারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, 'টেকনিক্যাল আপত্তিগুলি খারিজ হয়ে গিয়েছে। মামলাটি এখন তার গুরুত্বের ভিত্তিতেই এগিয়ে যাবে। আর, আমরা সুড়ঙ্গের শেষে সাফল্য দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করি যে, এখন এই মামলাটি দ্রুত চূড়ান্ত রায়ের দিকে এগিয়ে যাবে।'
বারাণসী আদালতে মামলার সূত্রপাত হয়েছিল ২০২১। ওই বছর, পাঁচ মহিলা বারাণসী জেলা আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে দেবতাদের উপাসনা করার অধিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। যার পরে আদালত মামলাটিকে চালিয়ে যাওয়ার যোগ্য বলে বহাল রাখে। বারাণসী জেলা আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ২০২২ সালের অক্টোবরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি।
আরও পড়ুন- PMO থেকে আসছি! মোদীর নাম ভাঙিয়ে গ্রেফতার ভুয়ো IAS আধিকারিক
মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে মসজিদ কমিটির যুক্তি ছিল যে, বাদীদের দায়ের করা মামলাটি মসজিদের ধর্মীয় চরিত্র পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে। শীর্ষ আদালত পালটা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, নিম্ন আদালতে মামলা চলছে। এক্ষেত্রে মামলা শেষ না-হওয়ার পর্যন্ত শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে ন। আর, সেই কারণে মামলাটি ফিরে যায় বারাণসীর জেলা জজের কাছে।