মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। যাকে 'গুরুতর' বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। এমনকী দেশমুখের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্যও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্তও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ফলে অস্বস্তি বেড়েছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকারের। তবে, সরকারের অস্বস্তির কথা মানতে নারাজ জোট সরকারের অন্যতম শরিক দলের নেতা।
রবিবার পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার বলেছেন, 'তোলাবাজির যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যিই গুরুতর। প্রাক্তন আইপিএস জুলিয়ো রেবেইরোকে দিয়ে ঘটনার তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি। তবে, সেটা বলবৎ করবেন কিনা তা একান্তই উদ্ধব ঠাকরের বিষয়।'
যদিও পাওয়ারের দাবি, 'পরমবীরকে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানোর পরই তিনি এই অভিযোগ করেছেন, তাই তিনিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন।' এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা হলেও তাতে জোটে সরকারের কোনও অসুবিধা হবে না বলেই জানিয়েছেন পাওয়ার।
তোলাবাজির অভিযোগের পর কী অনিল দেশমুখের স্বার্ষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালানো উচিত? জবাবে শারদ পাওয়ার বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নেবেন।'
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ তোলাবাজি করে মাসে ১০০ কোটি টাকা ঘরে তুলতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছ থেকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের তদন্তে ত্রুটির অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে পরমবীরকে সরিয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে লেখা এক চিঠিতে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন পরমবীর। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, অম্বানী কাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ওয়াজেকেই তোলাবাজির কাজে ব্যবহার করতেন দেশমুখ। এই বিষয়টি তিনি আগেই উদ্ধবকে জানিয়েছিলেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন