পেগাসা ইস্যুতে মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার এডিটর্স গিল্ডের দায়ের করা মামলায় এদিন শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মিডিয়া রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে এটা গুরুতর অভিযোগ। এডিটর্স গিল্ডের মামলায় আবেদন করা হয়েছে, বিশেষ এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করা হোক। পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেলেঙ্কারির জেরে বিরোধী নেতা-সাংবাদিকদের নিশানা করা হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না এবং বিচারপতি সুর্য কান্তের বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি হয়। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেছেন, "২০১৯ সালে আড়ি পাতার ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু তা নিয়ে আরও তথ্য জোগাড়ের কোনও চেষ্টা হয়েছিল কি না আমার জানা নেই। আমি প্রত্যেকটি অভিযোগের তথ্য নিয়ে কিছু বলছি না, কিন্তু কয়েকজনের অভিযোগ ফোনে নজরদারি করা হয়েছিল। এর জন্য টেলিগ্রাফ আইন রয়েছে।"
মামলার শুনানিতে আইনজীবী কপিল সিব্বলের অভিযোগ, পেগাসাস এমন একটা প্রযুক্তি যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তাঁদের অজান্তেই প্রবেশ করে ব্যক্তিগত পরিসরে আঘাত হানা। সম্মান নষ্ট এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মানহানি। সম্প্রতি, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমগুলির যৌথ তদন্তমূলক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ভারতে ৩০০-র বেশি মোবাইল ফোনে ঢুকিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এমনকী এই তালিকায় রয়েছেন মোদী সরকারের এক মন্ত্রীও। একাধিক বিরোধী নেতা, সাংবিধানিক ব্যক্তিত্ব, কর্তৃপক্ষ, বহু সাংবাদিক এবং শিল্পপতিদেরও ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে।
আরও পড়ুন পেগাসাস–কাণ্ডে সিট চেয়ে জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে! আগামি সপ্তাহে শুনানি আদালতে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবের নম্বরও এই নজরদারির তালিকায় ছিল। বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের পরেও সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং কেন্দ্রের দাবি, এই অভিযোগ উত্তেজনার সৃষ্টির জন্য, দেশের গণতন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করার চক্রান্ত মাত্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন