Modi Government: মুসলিম মহিলাদের প্রতি অবমাননাকর ওয়েব পেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। রবিবার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, ‘গীতহাব ব্যবহারকারী এক ব্যক্তিকে ব্লক করেছে সংস্থা। পাশাপাশি পুলিশ এবং সিইআরটি আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।‘ সাম্প্রতিক সময়ে সমাজের প্রভাবশালী কয়েকজন মুসলিম মহিলার ছবি দিয়ে অনলাইন নিলাম প্রচার শুরু হয়েছিল। সেই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সিইআরটি সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বুল্লিবাই নামে তৈরি করা সেই অনলাইন পেজে সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় প্রভাবশালী মুসলিম মহিলাদের ছবি ব্যবহার হয়েছে। এমনটাই সমাজকর্মীদের অভিযোগ। ইতিমধ্যে দিল্লির এক সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশেও পৃথক ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বুল্লিবাই অ্যাপকে বিপজ্জনক ঘোষণা করে মুম্বাই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এই প্রসঙ্গেমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ট্যুইট, ‘কেন্দ্র দিল্লি এবং মুম্বই পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করছে।‘
এদিকে, মুসলিম মহিলাদের অবমাননা করে ওয়েব বা অনলাইন পেজ। এক মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশে দায়ের এফআইআর। গীতহাব অ্যাপ নামে ওই ওয়েব পেজে একাধিক মহিলার ছবি সম্পাদিত করে অশ্লীলতা ছড়ানো হয়েছে। এমনটাই দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ওই সাংবাদিক। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণীর ছবিও সেই ওয়েব পেজে রয়েছে।
ছয় মাস আগেও একই অভিযোগে দিল্লি এবং নয়ডায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় কোনও গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেনি। এমনটাই অভিযোগ সমাজকর্মীদের। যদিও প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই সরে গিয়েছে সেই গীতহাব অ্যাপ। আপাতত অভিযোগকারিণী মহিলাদের তোলা স্ক্রিনশটের সূত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। আইপিসির ৫০৯ অর্থাৎ মহিলাদের মানহানির ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক কর্তা।
সুত্রের খবর, বিতর্কিত পোস্টগুলো যে অ্যাকাউন্ট থেকে করা হয়েছিল, কয়েকটি চিহ্নিত করা গিয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগ পত্রে ওই সাংবাদিক লিখেছেন, ‘আজ সকালে আমি দেখতে পাই একটা ওয়েবসাইটে আমার সম্পাদিত ছবি। যে ছবি যথেষ্ট আপত্তিকর এবং কটু মন্তব্যপূর্ণ। আমি প্রায় অনলাইনে ব্যাঙ্গের শিকার হই কিন্তু এই অনলাইনে হেনস্থা বাড়াবাড়ি। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই হেনস্থার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।‘
তিনি অভিযোগ পত্রে আরও জুড়েছেন,’বুল্লি বাই শব্দটি যথেষ্ট অবমাননাকর। আর সেই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্যই মুসলিম মহিলাদের অসম্মান করা। আর ওয়েবসাইট জুড়ে শুধুই মুসলিম মহিলাদের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য এবং অপমানজনক বিষয়বস্তু।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন