কর্নাটকের এক গ্রামের প্রায় ৫০% বাসিন্দা করোনা সংক্রমিত। সে রাজ্যের বেলগাভি জেলার আবানাল গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। জেলা প্রশাসন সুত্রে খবর, ৩৬০ জনের মধ্যে ১৪৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সম্প্রতি তাঁরা মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন একটি উৎসব উদযাপন করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে খানাপুর তালুকের মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক সঞ্জীব নাড্রে বলেন, ‘সেই উৎসব থেকে ফিরে বমি-জ্বর উপসর্গ নিয়ে তাঁরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন। কোভিড বিধি মেনে তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পরেই সংক্রমণ ধরা পড়ে।‘
এরপরেই সেই গ্রামে গণপরীক্ষা শুরু করে জেলা প্রশাসন। সেখানেই বাকিদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, জেলার কমিশনার হরিশ কুমার সেই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। প্রশাসন সুত্রে খবর, যারা সংক্রমিত, তাঁরা উপসর্গহীন এবং স্থিতিশীল। প্রত্যেককেই হোম আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করল।কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুসারে, রাজ্য সরকারগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ৪০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রকে ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ মূল্যেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সরবরাহ জারি রাখা হবে।
দু’দিন আগেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, ১লা মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল দেশবাসী করোনার টিকা নিতে পারবেন। জানানো হয়েছিল কোভিশিল্ড সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কত দামে মিলবে তা কয়েকদিনের মধ্যেই বলে দেওয়া হবে। অবশেষে এই ঘোষণার দু’দিনের মধ্যেই করোনার টিকা কোভিশিল্ডের দাম জানিয়ে দেওয়া হল। এছাড়াও বলা হয় যে, এবার খোলাবাজারেও টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে। টিকা সরাসরি রাজ্যগুলোকেও সরবরাহ করা যাবে।
এতদিন বেসরকারি হাসপাতালে থেকে দুই ডোজ ভ্যাকসিনের দাম ৫০০ টাকাই দার্য ছিল। সরকারি হাসপাতালে অবশ্য ব্যাকসিন মিলত বিনামূল্যে। তবে এবার ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা নিতে গেলে কয়েকগুণ বেশি দাম দিতে হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, টিকার ডোজের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে। বিদেশী টিকার থেকে কোভিশিল্ডের দাম অনেক কম। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘ভারতে সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সকলেই এই ভ্যাকসিন পাবেন।’