Advertisment

লুট হওয়া অস্ত্র কোথায়? উদ্ধারে ছুটেছে কালঘাম, দিশাহীন পুলিশ-প্রশাসন

৬.৫ লক্ষ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
"Manipur arms seizure, Manipur weapons seizure, Manipur violence, Manipur protests, Manipur news, N Biren Singh, manipur government, Manipur deaths, Manipur violence deaths, India news, Indian express, Indian express India news, Indian express India"

সংঘর্ষের পর কেটে গিয়েছে ৬ মাস, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ছুটছে কালঘাম

মণিপুরে ৩ রা মে থেকে হিংসা শুরু হওয়ার প্রায় ৬ মাস পরে, রাজ্য সরকার হিংসা চলাকালীন লুট হওয়া অস্ত্রের মাত্র এক চতুর্থাংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সেই সঙ্গে লুট হয়ে যাওয়া গোলাবারুদের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম উদ্ধার হয়েছে। 

Advertisment

হিংসার সময় লুট হওয়া 5,600 অস্ত্রের মধ্যে 1,500 অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত  6.5 লক্ষ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।  প্রায় 20,000 রাউন্ড গোলাবারুদ পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বারবার অস্ত্র লুটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানোর পরও লুট হওয়া অস্ত্রের মাত্র এক চতুর্থাংশ পুলিশ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ্য রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসেও মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এবং রাষ্ট্রীয় অস্ত্রাগার থেকে চুরি হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। ৮০ শতাংশ অস্ত্র ইম্ফল পূর্ব, চুরাচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর তিন জেলা থেকে লুট হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।  এই তিনটি জেলার মধ্যে, ইম্ফল পূর্ব-এ 3,500টিরও অস্ত্র লুট হয়েছে। বিষ্ণুপুর এবং চুরাচাঁদপুর জেলার অস্ত্রাগার থেকে প্রায় 1,000টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে সরকার।

সূত্রের খবর লুণ্ঠিত অস্ত্রের অধিকাংশই ইম্ফল পূর্বের। সূত্রের মতে, অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট বেশিরভাগই ঘটেছিল মে মাসে যখন হিংসা চরমে উঠেছিল। একটি সূত্র জানায়, “কিছু বিচ্ছন্ন ঘটনা বাদে মে মাসের পর আর কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।  

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে লুটপাটের ঘটনার পর থেকে, রাজ্য সরকার সমস্ত অস্ত্রাগার পাহারা দেওয়ার জন্য সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) থেকে কর্মী নিয়োগ করেছে। "সঙ্কটজনক এবং উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত অস্ত্রাগারগুলিতে যেখানে সিআরপিএফ কর্মীদের নিয়োগ করা সম্ভব ছিল না, অস্ত্রগুলি সম্পূর্ণভাবে সরানো হয়েছে,"।  

Manipur
Advertisment