গোটা দেশ যখন হাথরাসের গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে উত্তাল। সেইসময় রাজস্থানের আলোয়ারে এক বছর এক গণধর্ষণ কাণ্ডে চার আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বিশেষ আদালত। পঞ্চম অভিযুক্তকে আইটি আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছর এপ্রিলে আলোয়ারে এক দলিত তরুণী পাঁচজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। স্বামীকে বেঁধে রেখে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনায় গত বছর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে উত্তাল হয় দেশ। চাপে পড়ে যায় রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার। সেই মামলায় এক বছর পর সাজা ঘোষণা হল।
আদালত জানিয়েছে, চার আসামী হংসরাজ গুর্জর, ছোটেলাল গুর্জর, অশোক গুরর্জর এবং ইন্দরাজ গুর্জরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম অভিযুক্ত মুকেশকে গণধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এফআইআ অনুযায়ী, পাঁচ অভিযুক্ত বাইকে চেপে এসে আলোয়ার-থানাগাজি হাইওয়ের কাছে ওই তরুণী ও তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় রাস্তার ধারে বালির ঢিবির পিছনে। গত বছর ২৬ এপ্রিলের এই ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামীকে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। আর সঙ্গে থাকা ২ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর দুদিনের মাথায় ওই যুবককে ফোন করে ১০ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। না দিলে গণধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
আরও পড়ুন হাথরাসের ঘটনা ভয়াবহ! যোগী সরকারের কাছে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের
৩০ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা। কিন্তু অভিযোগ ছিল, পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করা তো দূর, অভিযোগই প্রথমে নিতে চায়নি। সাতদিন কেটে যাওয়ার পরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। সেইসময় বিরোধী দল বিজেপি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে অশোক গেহলট সরকারকে তুলোধোনা করতে ময়দানে নামে। চাপে পড়ে মে মাসে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তারও পাঁচদিন পর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। তাও ওই এলাকায় লোকসভা নির্বাচনের পর। পরে থানাগাজি থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়। আলোয়ারের পুলিশ সুপারকেও বদলি করে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়ে রাজস্থান সরকার তাঁকে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দেয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন