আলওয়ার গণপিটুনির বিরুদ্ধে মহাপঞ্চায়েত, ক্ষতিপূরণ দাবি ৫০ লাখের

Alwar Lynching: আকবরের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তি এবং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটাতেই মূলত সভার আয়োজন। আরবর ইনসাফ কমিটির আয়োজিত এই সভায় পাঁচটি গ্রামের ৪০ জন বাসিন্দা অংশ নেন।

Alwar Lynching: আকবরের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তি এবং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটাতেই মূলত সভার আয়োজন। আরবর ইনসাফ কমিটির আয়োজিত এই সভায় পাঁচটি গ্রামের ৪০ জন বাসিন্দা অংশ নেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
alwar-lynching2

আলওয়ারে গনপিটুনিতে মৃত্যু নিয়ে মহাপঞ্চায়েত সভা বসে।

সম্প্রতি রাজস্থানের আলওয়ারে গণপিটুনির সময় শকে মৃত্যু হয়েছে আকবর নামে এক ব্যক্তির। অন্তত ময়না তদন্তের রিপোর্টে তাই বলা হয়েছে। বছর ৩০ এর ওই যুবককে গরু পাচারের সন্দেহে মারতে শুরু করে আলওয়ারের রামগড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের জিপে আকবরকে রামগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ইতিমধ্যেই, কিন্তু এবার নিন্দায় মুখর হলেন সমাজের মাথারা।

Advertisment

রবিবার এই ঘটনার নিন্দায় একটি মহা পঞ্চায়েত সভা বসে। জানানো হয়, আকবরের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তি এবং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটাতেই মূলত সভার আয়োজন। আরবর ইনসাফ কমিটির আয়োজিত এই সভায় পাঁচটি গ্রামের ৪০ জন বাসিন্দা অংশ নেন। পাশাপাশি আরও ১০০ জন আসেন রাজস্থান, হরিয়ানা এবং দিল্লি থেকে। এদিন সভায় একাধিক দাবি জানানো হয়।

অল ইন্ডিয়া মেওয়াতি সমাজের সভাপতি রামজান চৌধুরি বলেন, "আমাদের প্রধান দাবী, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করা হোক।" পাশাপাশি রাজস্থান সরকারের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং তাঁর স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়। শুধু তাই নয়, আকবরের সাত বছরের ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিক সরকার, এবং সমস্ত অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক, এই আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: রাজস্থানের বাজারে দুধের সঙ্গে জোর টক্কর গো-মূত্রের

Advertisment

স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব এদিন সভায় বলেন, "এটা খুবই লজ্জা এবং দুঃখের সময়। একজন বৃদ্ধ বা যুবক শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেলে আমরা দুঃখ বোধ করি, কিন্তু যেভাবে আকবর মারা গিয়েছে, সেটা শুধু দুঃখের বিষয় নয়, লজ্জারও। এই লজ্জা শুধু সমাজের বা মুসলিম সম্প্রদায়ের নয়, এই লজ্জা সমগ্র ভারতবাসীর। এমন ঘটনা প্রথম নয়, আখলাক, জুনেইদ, পেহলু, আকবর, সবার ক্ষেত্রেই হয়ে চলেছে।"

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন পুলিশের কর্মকাণ্ডের ভিত্তি ছিল রামগড় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গোরক্ষা সেলের প্রধান নওল কিশোর শর্মার অভিযোগ। অবশ্য পরে নিজেদের দোষের কথা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ। বসুন্ধরা রাজে সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজস্থানের ডিজিপি ওপি গেলহোত্রা সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে জানিয়েছেন, "বিষয়টির তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই আলওয়ার পৌঁছেছেন চার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক।"