আলওয়ার জেলার লালওয়ান্দিতে গরুপাচারকারী সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত যুবক আকবরকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে দেরি হয়েছে বলে স্বীকার করে নিল পুলিশ। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ। বসুন্ধরা রাজে সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রাজস্থানের ডিজিপি ও পি গেলহোত্রা সবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টির তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই আলওয়ার পৌঁছেছেন চার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক।’’
নিহত আকবর ওরফে রাকবার পুলিশের মারে মারা গেছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি দেখা যায় কোনও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে, সেক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিজিপি।
গেলহোত্রা তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশেষ- দলে রয়েছেন স্পেশাল ডিজিপি (আইন শৃঙ্খলা) এন আর কে রেড্ডি, অতিরিক্ত ডিজিপি (সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চ) পি কে সিং, আই জি (জয়পুর রেঞ্জ) হেমন্ত প্রিয়দর্শী এবং স্টেট নোডাল অফিসার (গো রক্ষা) মহেন্দ্র সিং চৌধরী।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আকবর যে জায়গায় গণপ্রহারের শিকার হন, সেখান থেকে রামগড় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আকবরকে ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন, রাজস্থানে গরুচোর সন্দেহে গনপিটুনিতে ফের মৃত্যু
জানা গেছে, আকবরকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খায় এবং থানায় নিয়ে গিয়ে আকবরের পোশাক বদলায়। সেদিন পুলিশের কর্মকাণ্ডের ভিত্তি ছিল রামগড়ের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গোরক্ষা সেলের প্রধান নওল কিশোর শর্মার অভিযোগ।
এ ঘটনায় ধর্মেন্দ্র যাদব এবং পরমজিৎ সিংকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্ত নরেশ সিংকে গতকাল পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
২০১৭ সালের পয়লা এপ্রিল আলওয়ারেই প্রায় ২০০ জন স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয় পেহলু খান নামক মধ্য-পঞ্চাশের এক ব্যক্তির।