আঘাতে নয়, শকেই মৃত্যু আকবরের

পুলিশের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে আসলাম আরও বলেছেন, "আক্রমণকারীরা বলেছিল তাদের মাথার উপর বিধায়কের হাত আছে, কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না।"

পুলিশের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে আসলাম আরও বলেছেন, "আক্রমণকারীরা বলেছিল তাদের মাথার উপর বিধায়কের হাত আছে, কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
verma-759

ফোটো : শুভম দত্ত

গণপিটুনির সময় আঘাতে নয়, শকেই মৃত্যু হয়েছে আকবরের। গোটা শরীরে ১৩ টি জায়গায় পাওয়া গিয়েছে আঘাতের চিহ্ন, যার মধ্যে আটটি গভীর ক্ষত, তিনটি জায়গায় কেটে গিয়েছে এবং বাঁ হাতের কবজি ভেঙে গিয়েছে। তবে এতে মৃত্যু হয়নি আকবর খানের, এমনটাই বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। শুক্রবার রাতে বছর ২৮-এর এই যুবককে গরু পাচারের সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়।

Advertisment

publive-image Alwar lynching: আকবর খানের ময়না তদন্ত রিপোর্ট

আকবর পুলিশকে জানান, কয়েকজন এলাকার লোক তাঁর এবং তাঁর সঙ্গীর রাস্তা আটকে গরু পাচারকারী ভেবে মারধর করতে শুরু করে। সঙ্গী আসলাম পালাতে পারলেও অপরিচিত স্থানীয় বাসিন্দারা লাঠি দিয়ে আকবরকে মারধর করে, যার ফলে হাত, পা ও সারা শরীরে আকবর গুরুতর চোট পান। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পুলিশ জিপে করে আকবরকে রামগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আসলাম তাঁর দায়ের করা এফআইআরে জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা লাঠি দিয়ে বারংবার আঘাত করতে থাকে আকবরকে। কিছুক্ষণ পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন আকবর। পুলিশের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে আসলাম আরও বলেছেন, "আক্রমণকারীরা বলেছিল তাদের মাথার উপর বিধায়কের হাত আছে, কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না।"

Advertisment

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আকবর যে জায়গায় গণপ্রহারের শিকার হন, সেখান থেকে রামগড় কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আকবরকে ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু জানা গিয়েছে, আকবরকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খায় এবং থানায় নিয়ে গিয়ে আকবরকে স্নান করিয়ে তাঁর পোশাক বদলায়।

সেদিন পুলিশের কর্মকাণ্ডের ভিত্তি ছিল রামগড়ের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গোরক্ষা সেলের প্রধান নওল কিশোর শর্মার অভিযোগ। অবশ্য সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ। বসুন্ধরা রাজে সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজস্থানের ডিজিপি ওপি গেলহোত্রা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "বিষয়টির তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই আলওয়ার পৌঁছেছেন চার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক।"