দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত একটি শোভাযাত্রা ঘিরে শনিবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের আবহ শেষে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করতে রবিবার একটি সভা ডেকেছিল শান্তি কমিটি। সেই সভায় বিজেপির কাউন্সিলর, সংঘর্ষের জন্য বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করেন। বিজেপি কাউন্সিলরের এই বক্তব্য নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে, একথা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। এতেই সভার তাল কেটে যায়। সভা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবারই দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, দাঙ্গায় উসকানি এবং অপরকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে সিআরপিএফ এবং র্যাফের সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। জওয়ানরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এখনও যে রাস্তায় সংঘর্ষ হয়েছে, তার মাঝপথে ভাঙা পাথর, কাচভাঙা পড়ে আছে। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ পিকেট।
এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উষা রঙ্গনানি জানান, মহেন্দ্র পার্ক, জাহাঙ্গিরপুরী এবং আদর্শ নগর এলাকার শান্তি কমিটির লোকজন রবিবারের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর গরিমা গুপ্তাও। সংঘর্ষের পর কীভাবে এলাকায় শান্তি এবং সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। শান্তি কমিটিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন ছিল।
আরও পড়ুন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ‘সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক’ তকমার অর্থ কী?
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উষা রঙ্গনানি জানান, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন তত্পরতা চালাচ্ছে। পুলিশ নিরেপক্ষভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, কিন্তু দুষ্কৃতী তার সুযোগ নেয়। গুজব ছড়ায়, পাশাপাশি মিথ্যে খবরও ছড়ায়। সেসবে কান না-দিতে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। দুষ্কৃতীদের রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি, তেমন কোনও দুষ্কৃতীকারীর খোঁজ কারও কাছে থাকে, তবে অবিলম্বে পুলিশকে জানাতে আবেদন করেছেন ডেপুটি কমিশনার।
Read story in English
জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষ ঘিরে উসকানিমূলক মন্তব্য বিজেপি কাউন্সিলরের, ভেস্তে গেল শান্তি বৈঠক
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Follow Us
দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত একটি শোভাযাত্রা ঘিরে শনিবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের আবহ শেষে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করতে রবিবার একটি সভা ডেকেছিল শান্তি কমিটি। সেই সভায় বিজেপির কাউন্সিলর, সংঘর্ষের জন্য বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করেন। বিজেপি কাউন্সিলরের এই বক্তব্য নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে, একথা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। এতেই সভার তাল কেটে যায়। সভা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবারই দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, দাঙ্গায় উসকানি এবং অপরকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে সিআরপিএফ এবং র্যাফের সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। জওয়ানরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এখনও যে রাস্তায় সংঘর্ষ হয়েছে, তার মাঝপথে ভাঙা পাথর, কাচভাঙা পড়ে আছে। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ পিকেট।
এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উষা রঙ্গনানি জানান, মহেন্দ্র পার্ক, জাহাঙ্গিরপুরী এবং আদর্শ নগর এলাকার শান্তি কমিটির লোকজন রবিবারের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর গরিমা গুপ্তাও। সংঘর্ষের পর কীভাবে এলাকায় শান্তি এবং সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। শান্তি কমিটিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন ছিল।
আরও পড়ুন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ‘সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক’ তকমার অর্থ কী?
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উষা রঙ্গনানি জানান, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন তত্পরতা চালাচ্ছে। পুলিশ নিরেপক্ষভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, কিন্তু দুষ্কৃতী তার সুযোগ নেয়। গুজব ছড়ায়, পাশাপাশি মিথ্যে খবরও ছড়ায়। সেসবে কান না-দিতে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। দুষ্কৃতীদের রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি, তেমন কোনও দুষ্কৃতীকারীর খোঁজ কারও কাছে থাকে, তবে অবিলম্বে পুলিশকে জানাতে আবেদন করেছেন ডেপুটি কমিশনার।
Read story in English