জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরওয়াল জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হল ১৬। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির সময় ক্ষতিগ্রস্তরা অমরনাথ মন্দিরের কাছে শিবিরে ছিলেন। আকস্মিক বন্যায় শিবিরের ওই অংশটি ভেসে গিয়েছে।
দিল্লিতে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ১৬টি মৃতদেহ বালতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার তৎপরতা চলছে। উদ্ধার অভিযান তদারকি করতে শনিবার ভোরে অমরনাথ পবিত্র গুহায় পৌঁছেছেন আইজিপি কাশ্মীর এবং কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার। একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার উদ্ধারে কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্তত ১৫ হাজার তীর্থযাত্রী, যাঁরা অমরনাথ পবিত্র গুহার কাছে আটকা পড়েছিল, তাদের অপেক্ষাকৃত নীচে পাঞ্জতারনির বেস ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়। "কোন যাত্রীকে ট্র্যাকে রাখা হয়নি", ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
বর্তমান অবস্থার জেরে অমরনাথ যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
এদিকে, আইটিবিপির মুখপাত্র বিবেক কুমার পাণ্ডে এএনআইকে জানিয়েছেন যে, প্রায় ৩০-৪০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, “আজ সকালে বিমান উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল। ৬ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। মিলিটারি মেডিক্যাল টিম রোগীদের এবং হতাহতদের নিলাগ্রার হেলিপ্যাড থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছে।"
একজন সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, "উদ্ধারকারী দল নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে।"
বিএসএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, আধাসামরিক বাহিনীর চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা বন্যায় গুরুতর আহত নয়জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন।
পিটিআই অনুসারে, পবিত্র গুহা থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের সহায়তা করার জন্য নীলগ্রাথ হেলিপ্যাডে একটি ছোট বিএসএফ দলও মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রায় 150 জন যাত্রী পাঞ্জতারনিতে তৈরি বিএসএফ ক্যাম্পে অবস্থান করেছিলেন এবং শনিবার সকালে 15 জন রোগীকে বিমানে বালতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরকারি আধিকারিকরা অনুমান করেছেন যে, শুক্রবার কমপক্ষে ২৫টি তাঁবু লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে।