মেঘভাঙা নয়, প্রবল বৃষ্টিতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথ, দাবি আবহাওয়া দফতরের

একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যায় না। কারণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি মানে মারাত্মক। সেটা মাত্র ৩৩ মিলিমিটার হয় না। পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে। মেঘভাঙা বৃষ্টি হলে মাত্র একঘণ্টাতেই ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যায় না। কারণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি মানে মারাত্মক। সেটা মাত্র ৩৩ মিলিমিটার হয় না। পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে। মেঘভাঙা বৃষ্টি হলে মাত্র একঘণ্টাতেই ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
amarnath yatra

শুক্রবারের হড়পা বানে অমরনাথে কমপক্ষে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মন্দিরের কাছে তাঁবু ও বিভিন্ন তীর্থযাত্রীদের অস্থায়ী রান্নাঘর প্রবল জলের তোড়ে কাদা ও পাথরের সঙ্গেই ভেসে গিয়েছে। আকস্মিক এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে প্রথমে অনেকেই দাবি করেছিলেন, মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে। তার জন্যই এত ভয়ংকর সব ভাসানো জলের ধারার সাক্ষী হল অমরনাথ।

Advertisment

কিন্তু, পরে আবহাওয়া দফতর যাবতীয় তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অন্য কথা বলেছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নয়। এটা স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টির ফল। তাতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথের একাংশ। পণ্ড হয়েছে এই তীর্থযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দ। প্রাণহানি ঘটেছে তীর্থযাত্রীদের। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, 'অমরনাথ গুহামন্দিরের কাছেই পর্বতের শিখরে মেঘ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সেখান থেকে বৃষ্টি নেমেছে।'

দক্ষিণ কাশ্মীরে অমরনাথ গুহামন্দিরের কাছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের একটি স্বয়ংক্রিয় কার্যালয় আছে। যা তীর্থযাত্রার সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। কিন্তু, দুর্গমতার কারণে আশেপাশের পাহাড়ে আর কোনও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। শুক্রবার আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে চারটা থেকে দু'ঘণ্টা ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।

আরও পড়ুন- অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বিপর্যয়: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

Advertisment

একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যায় না। কারণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি মানে মারাত্মক। সেটা মাত্র ৩৩ মিলিমিটার হয় না। পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে। মেঘভাঙা বৃষ্টি হলে মাত্র একঘণ্টাতেই ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে তা হয়নি। কিন্তু, তাতে কী! যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে, তাতেই পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় যতখানি ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কারণ, জল সবসময় নীচের দিকে গড়ায়। আর, সেই জন্যই এতবড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল শুক্রবারের অমরনাথ তীর্থযাত্রায়।

শ্রীনগরের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সোনম লোটাস এই প্রসঙ্গে বলেন, 'অমরনাথে পবিত্র গুহা মন্দিরের কাছে পুঞ্জীভূত হওয়া মেঘ থেকে এমন বৃষ্টি এবারই প্রথম হল না। চলতি বছরের গোড়াতেও হয়েছিল। দু'ঘণ্টার বৃষ্টির মধ্যে দ্বিতীয় ঘণ্টায় বৃষ্টি বেড়েছিল। দ্বিতীয় ঘণ্টায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।' তাই, মেঘভাঙা বৃষ্টি হলে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকত বলেই আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। তবে সে কারণটা যাই হোক। স্বজনহারা তীর্থযাত্রীদের কাছে এখন এই সব তথ্য সম্পূর্ণ অর্থহীন।

Read full story in English

rain amarnath yatra rashifal