আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে ধৃত পুলিশ আধিকারিক শচীন ওয়াজেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে পাঠাল আদালত। এদিকে, শচীনের কাছ থেকে ৬২টি হিসাব বহির্ভূত বুলেট পাওয়া গিয়েছে বলে বিশেষ আদালতে জানিয়েছে এনআইএ। আলাদাভাবে ৩০টি বুলেট পুলিশ অফিসার হিসাবে বিভাগের তরফে পেয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে ২৫টি পাওয়া গেলেও পাঁচটি বুলেটের কোনও হদিশ নেই।
অন্যদিকে, ওয়াজে আদালতে জানিয়েছেন, আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। একটি মামলার তদন্তে নেমেছিলাম মাত্র দেড় দিনের জন্য। তার মধ্যে যতটুকু পেরেছি করেছি। শুধু আমি নই, ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রত্যেক অফিসার তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন। কিন্তু আচমকা সব বদলে গেল, ১৩ মার্চ আমি নিজে থেকে এনআইএ-র কাছে গেলাম, আর আমাকেই গ্রেফতার করা হল।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিলা গাড়ি বোমা-কাণ্ডে ধৃত পুলিশ আধিকারিক শচীন ভাজের বিরুদ্ধে ইউএপিএ মামলা রুজু দিয়েছে এনআইএ। মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রাখার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এই আধিকারিক। তদন্ত চলাকালীন সাসপেনশনে রয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে বিশেষ এনআইএ আদালতে তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, সহযোগিতা করছেন না ভাজে। প্রতিবার জেরার সময় তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতি চেয়ে সুর চড়াচ্ছেন তিনি। এদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কর্তা পরমবীর সিংহ। নিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করতে।