দিল্লিতে হিংসার আবহেই রবিবার বাংলাদেশ যাচ্ছেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে এমনিতেই ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে। তারপর সম্প্রতি অশান্তির আগুনে পুড়েছে দিল্লি। এই প্রেক্ষিতে বিদেশসচিবের বাংলাদেশ সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া।
দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন শ্রিংলা। আজ ও কাল ঢাকায় বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মোদীর সফর নিয়ে আলোচনাই প্রধান বিষয় বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ এই অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে সম্ভবত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর।
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় বেনজির দৃশ্য, মন্দির পাহারা দিলেন মুসলিমরা, মসজিদে হিন্দু
এদিকে, সিএএ পাসের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের দুই মন্ত্রীর ভারত সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ঠিকই, তবে সিএএ-র প্রয়োজন ছিল না’’। গল্ফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা জানিয়েছিলেন, সিএএ পাস করার উদ্দেশ্য তিনি জানেন না। এই প্রেক্ষিতে বিদেশসচিবের বাংলাদেশ সফর উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে, দিল্লিতে হিংসায় নিহত হয়েছেন ৪২ জন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া। শুক্রবার জাকার্তায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রদীপ রাওয়াতের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন ইন্দোনেশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। শনিবার দ্য জাকার্তা পোস্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে লেখা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভারত সরকার সমর্থ হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন