Advertisment

Covid 19: নতুন বছরে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হলেও, স্বস্তি দিয়ে নিম্নমুখী মৃত্যুর হার

মন্ত্রক সূত্রে দাবি, নতুন বছরের প্রথম দু’মাসে সংক্রমিত ৮,০৬,৪৫৩ জন। কিন্তু ১১ জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চের মধ্যে মৃত ৬৯৭৯ জন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
UP, Corona India

দেশব্যাপী চলছে করোনা টিকাকরণ। ফাইল ছবি

দেশের প্রায় হাফ ডজন রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। লকডাউন ফিরেছে নাগপুরে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে উদ্বেগে রেখেছে মধ্য প্রদেশ, পঞ্জাবের সংক্রমণ বৃদ্ধি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন স্ট্রেনে সংক্রমিত হওয়ার পরিসংখ্যান। এই আবহে মৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি দেখছে মন্ত্রক। পরিসংখ্যান বলছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি হাজার জন সংক্রমিতের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ছিল ১.৪%। কিন্তু নতুন বছরে সেই হার কমে হয়েছে ০.৮৭% বা ০.৯%।মন্ত্রক সূত্রে দাবি, নতুন বছরের প্রথম দু’মাসে সংক্রমিত ৮,০৬,৪৫৩ জন। কিন্তু ১১ জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চের মধ্যে মৃত ৬৯৭৯ জন। উল্লেখযোগ্য ভাবে সক্রিয় সংক্রমণের দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রথম মৃত্যুর খবর মিলছে। এটাই আশা দেখাচ্ছে চিকিৎসকদের।

Advertisment

এদিকে, কোয়াড বৈঠক প্রাধান্য পেল করোনা টিকা উৎপাদন। শুক্রবার কোয়াড বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা। চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদন উদ্যোগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চারটি দেশ (আমেরিকা, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) হাত মিলিয়ে করোনা টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় গতি আনতে সম্মত হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মূলত চিনকে প্রতিহত করে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই গড়ে উঠেছে চার দেশের জোট। করোনার হাত থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষায় ভারতের উপর করোনা টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকার আর্থিক আনুকূল্যে অস্ট্রেলিয়া-জাপান লজিস্টিক সংক্রান্ত সহয়তায় ভারত টিকা তৈরি করবে।

ভ্যাকসিন বণ্টন করার কাজে ব্যবহার করা হবে কোভ্যাক্স, হু প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সাহায্য।

ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামোকে আরও সমৃদ্ধ করতে জরুরি আর্থিক চুক্তি করছে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে ভারতে করোনা টিকার উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন সংস্থা নোভ্যাভ্যাক্স এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের হয়ে ভারতীয় সংস্থাদের করোনা টিকা প্রস্তুত করার লক্ষ্যে চুক্তিটি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। চিনের টিকা কূটনীতিকে প্রতিহত করতেই ভারতকে সাহায্য করবে বাকি দেশগুলি। বৈঠকে ২০২২ সালের মাধ্যে ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কোয়াডের অংশীদার চার দেশ ।

একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বোঝাপড়া সুদৃঢ় করার জন্য তিনটি ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হবে বলে এদিন যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এগুলি হল, কোয়াড ভ্যাকসিন গ্রুপ, কোয়াড ক্রিটিক্যাল ও ইমারজেন্সি টেকনোলডি ওয়ার্কিম গ্রুপ ও কোয়াড ক্লাইমেড ওয়ার্কিং গ্রুপ।

এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘ভ্যাকসিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এদিনের আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে বাড়তি ভ্যাকসিন উৎপাদনে আরও বিনিয়োগ হবে, এইসব ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

health-ministry India Corona COVID-19 Death Rate
Advertisment