করোনা সংক্রমণের মাত্রাছাড়া প্রভাবে বাতিল হল বরিস জনসনের ভারত সফর। সোমবার জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। আগামি ২৫ এপ্রিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ভারত সফরের সূচি ছিল। কিন্তু পারস্পরিক বোঝাপড়ায় সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সুত্রে খবর।
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আগামি দিনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধান। ইন্দো-ইউকে সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে এই বৈঠক হবে।‘
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফর বাতিলে চাপ বাড়াচ্ছিল বিরোধীরা। করোনা সংক্রমণের জেরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ভারতে। তাই ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টি ক্রমাগত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়িয়েছিল।
সে দেশের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, ভারতীয় স্ট্রেনে আক্রান্ত ৭৭ জন ব্রিটিশ। গত একমাসে এই সংখ্যা শতাধিক। যদিও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত প্রস্তাবিত ভারত সফর ছোট করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বুধবার এই খবর দিয়েছিল ইউকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। চলতি মাসের শেষে বহু প্রতীক্ষিত ভারত সফরের সূচি ঠিক হয়েছিল জনসনের। ইন্দো-ইউকে বানিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত করা, এই সফরের অন্যতম উপলক্ষ্য ছিল।
এর আগে চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় ইউকে-তে ব্রিটেন স্ট্রেনের বাড়বাড়ন্তে সেই সূচি স্থগিত করেন জনসন।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের স্বার্থে কোনও কমনওয়েলথ দেশের সফরে আসছিলেন বরিস। ২৬ এপ্রিল ভারতে পৌঁছে সেই দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা ছিল জনসনের। নতুন সূচি উল্লেখ করে এমনটাই প্রধানমন্ত্রীর দফতর সুত্রে খবর ছিল। ৩ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরবেন তিনি। এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে বরিসের মুখপাত্র বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে কী ভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হবে, সে বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। সংক্রমণের কারণে প্রধানমন্ত্রী নিজের সফরে কাটছাঁট করেছেন।’ বরিসের ভারত সফরে কবে কী বৈঠক হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য এখনও ভারত বা ব্রিটেন কারও তরফেই কিছু জানানো হয়নি। পুরো সফর সূচি ঠিক হলে তারপরেই হয়তো তা জানানো হবে।
এর আগে লন্ডনে জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠকে গিয়ে বরিসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের মধ্যে এই বৈঠকে বেশ কিছু মউ চুক্তি হতে পারে। ব্রিটেন সরকারের তরফে ভারতে বড় বিনিয়োগ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।