Advertisment

তাড়াহুড়ো করে এখনই দেশে লকডাউন জারির পরিস্থিতি হয়নি : অমিত শাহ

চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। অচিরেই জারি হতে পারে লকডাউন। প্রমাদ গুনছে ভারত। কী ভাবছে কেন্দ্র? সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Amit Shah on lockdown in India

অমিত শাহ

চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। প্রথম পর্বের তুলনায় দেশজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাইট কার্ফি জারি হয়েছে। এই হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে অচিরেই ফিরে আসতে পারে গত বছরের লকডাউনের পরিস্থিতি। প্রমাদ গুনছে ভারত।

Advertisment

সংক্রমণের গতি রুখতে ফের কী লকডাউন জারির ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের? দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কী বলেছেন তিনি?

প্রশ্ন- ব়্যালি, রোড শো বা প্রছার সভা, বিজেপির জনসভায় ভিড় হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিকাংশই মাস্ক পড়ছেন না, শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয়। এদিকে করোনাও হু হু করে বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে আপনার কী মনে হয়?

উত্তর- প্রত্যেকের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং তাঁরা সেগুলিও মানছেন। গণতন্ত্রে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন ঘোষণা যাওয়ায় আমাদের আর বিকল্প নেই।

প্রশ্ন- গতবার দিল্লিতে যখন করোনার বাড়বাড়ন্ত তখন কিছুয়া অত সক্রিয় হয়েই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে সংক্রমণ প্রতিরধে আপনি কাজ করেছিলেন। বর্তমানে অপনি কী করছেন?

উত্তর- মহামারী রুখতে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছেন। টিকাকরণের গতি বৃদ্ধি করা, বিদেশি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া সহ নানার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনেও জোর দেওয়া হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে যেকোনও পরিস্থিতিতে সর্বতভাবে কেন্দ্রীয় সরকার লড়তে প্রস্তুত। ভেনটিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। গড়া হচ্ছে নয়া কোভিড হাসপাতাল।

প্রশ্ন- গতবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জরুরি ভিত্তিতে দেশবাসীর কাছে নানা সময়ে বার্তা পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন পরিস্থিতি ক্রমশ বেসামালের পথে তখ প্রধানমন্ত্রীর কেন কোনও বার্তা দিচ্ছেন না?ে

উত্তর- এই অভিযোগ ঠিক নয়। ইতিমদ্যেই দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দু'বার বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমিও ছিলাম। রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। মহামারীর সঙ্গে লড়তে সরকারকে সহায়তায় সব স্তরের অংশীদারদেরই আহ্বান জানানো হয়েছে। টিকাকরণ নিয়ে বিজাীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরও সুচারু স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে তৈরি করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা এগোচ্ছে। সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবই।

প্রশ্ন- করোনার নতুন রূপটি আরও সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। আপনি কী উদ্বিগ্ন?

উত্তর- সবার মতো আমিও উদ্বিগ্ন। আমাদের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে কাজ করছেন। তাঁরা জয়ী হবে- এটাই আমার বিশ্বাস।

প্রশ্ন- সংক্রমণ কমতে থাকায় কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন পদক্ষেপ অনেক শিথিল করা হয়েছিল। মানুষের সচেতনতাও কমেছে। তাই কী কোভিড বাড়ল বলে মনে করেন?

উত্তর- নয়া মিউট্যান্টের জন্যই সংক্রমণের হার বাড়ছে। অনেক দেশেই এই অবস্থা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সবটাই খতিয়ে দেখছেন। এখনও এ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার সময় হয়নি।

প্রশ্ন- কোভিড সংক্রমণ রোধে লকডাউনই কী একমাত্র বিকল্প?

উত্তর- আমরা এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এগোচ্ছি। প্রথমিকভাবে লকডাউনের প্রস্তাব অন্য বিষয়। কোভিড চিকিৎসায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো আরও ভালো করে প্রস্তুত করতে চাইছি আমরা। আগে আমাদের কাছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ওষুধ বা টিকা ছিল না। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সহমতের ভিত্তিতে আমরা গোটা অবস্থার মোকাবিলা করতে বদ্ধপরিকর। তাড়াহুড়ো করে লকডাউন জারি করার মতো পরিস্থিতি এখন বোধহয় হয়নি।

প্রশ্ন- বিদেশে ৬.৫ কোটি ডোজ টিকা পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু, অনেক রাজ্য়ে টিকা পর্যাপ্ত পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থার কারণ কী?

উত্তর- টিকাকরণে আমরা অনেক এগিয়ে। প্রথম 10 দিনের মধ্যে, যারা টিকা পেয়েছিলেন তাদের সংখ্যা ভারতে সবচেয়ে বেশি। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান থাকে। হঠাৎ করে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার বিষয়টি তরান্বিত করা যায় না। আমি স্বীকার করি না যে এখানে ঘাটতি রয়েছে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus India Corona Lockdown amit shah
Advertisment