সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নাম না-করে পাকিস্তানকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, 'কিছু দেশ এবং তাদের সংস্থা সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি করে তুলেছে।' সন্ত্রাসের এই সব আশ্রয়স্থলে অর্থনৈতিক দমন প্রয়োজন। পাশাপাশি, এই সব দেশের আর্থিক কার্যকলাপকে সীমাবদ্ধ রাখাও দরকার। এই অভিযোগ করে সমস্ত দেশকে তাদের ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন শাহ।
দিল্লিতে কাউন্টার-টেররিজম ফিনান্সিং-এর ৩য় 'নো মানি ফর টেরর' (NMFT) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে শাহ সমাপ্ত ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই তিনি এই কথা বলেন। শাহ বলেন, 'আমাদের সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। প্রতিটি ভৌগলিক অঞ্চল এবং প্রতিটি ভার্চুয়াল ক্ষেত্রে এই লড়াই চালাতে হবে।' তিনি আরও বলেন যে, 'সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে বর্তমান বিশ্বে প্রতিটি সম্প্রদায়কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর মোকাবিলায় আরও এগিয়ে যেতে হবে।'
এর পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে অর্থের পৌঁছনো রুখতে 'নো মানি ফর টেরর'-এর লক্ষ্যে একটি স্থায়ী সচিবালয় তৈরির প্রস্তাবও দেন শাহ। শাহ বলেন, 'সন্ত্রাসবাদীদের হাতে অর্থ পৌঁছনো রুখতে ভারত লাগাতার গোটা বিশ্বে নজর রাখছে। গোটা বিশ্বের ওপর ধারাবাহিক চাপ তৈরি করছে। ক্রমাগত গোটা বিশ্বে নজর রাখছে। আর, এই জন্যই নো মানি ফর টেরর বা NMFT তৈরির প্রয়োজন অনুভব করেছে। বর্তমানে এই সংস্থার জন্য একটি স্থায়ী সচিবালয় তৈরির সময় এসেছে। এবছর NMFT বৈঠকে বিশ্বের ৭২টি দেশ এবং ১৫ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।'
আরও পড়ুন- গুজরাট ভোটের আগেই দেশের নয়া নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা আইন মন্ত্রকের
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের এই প্রচেষ্টার কথা বলতে গিয়ে শাহ বলেন, 'দেশ সন্ত্রাস, মাদক এবং অর্থনৈতিক অপরাধ-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ডেটাবেস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' শুক্রবার NMFT বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে দেখার জন্য পশ্চিমের দেশগুলোর কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি জানান, যে অঞ্চলে জঙ্গি হামলা হয়, সেই অঞ্চলেই প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি হয়। আর, সেই প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি করতেই এক অভিন্ন, ঐক্যবদ্ধ, সহনশীলতা-শূন্য সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অভিযানের তিনি ডাক দেন।
Read full story in English